গত ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার সময় ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ গেটের সামনে প্রকৌশলী মিনহাজকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তার বড় আব্দুল্লাহ আল মামুনের মামলার প্রেক্ষিতে এজাহারভূক্ত ১নং আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে থানা পুলিশ।
৯ জনকে আসামি করে মামলা করলেও বাকিদের পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ঘটনায় নিহত মিনহাজের পাশাপাশি আরো বেশ জন গুরুতর আহত হয়। তারা ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান মানিক মুঠোফোনে জানান, এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি। আশাকরি অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
এদিকে আজ সকালে হত্যাকান্ডের স্বীকার মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ-এর হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে তার বাবা-মা এলাকাবাসী সহপাঠীরা
বিক্ষোভ শেষে আজ (১ ফেব্রুয়ারি) শনিবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করে।
এ সময় মিনহাজের সহপাঠীদের অনেকে কথা বলতে যেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রধান আসামি আরফান সরকার মাহফুজ কিং, শাওন, সাইফুল, সৌরভ কাজী, আলফাজ, শাহিন রহমান শুভ, জাকির হোসেন ইকবাল, রাসেল ও ইব্রাহিম ফাঁসি দাবি করে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়া কাছে বিচারের দাবি করে স্বারকলিপি প্রদান করেন।
তার সহপাঠী মো. হাসিব বলেন, স্কুলের অনেক মেধাবী খুব ভদ্র ও মেধাবী ছাত্র ছিল। তাকে এমন নির্মম হত্যাকান্ডের স্বীকার হতে হবে ভাবতে পারছি না।
নিহত মিনহাজুল আমার পাশের বেঞ্চের প্রিয় বন্ধুটিকে হারিয়ে আমার মতো অনেকেই আজ বাকরুদ্ধ।
নিহত মিনহাজের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে অনেক মেধাবী ছিল। তার কারণে অনেক চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে গেছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, আমি তার বিচার চাই। আমার ছেলে নতুন বিয়ে করেছে, আমার ছেলের বউ বিধবা হয়েছে। আমার ছেলের বউ অন্তঃসত্তা।
যখন আমার নাতী দুনিয়াতে আসবে। তখন আমরা আমার নাতির কাছে কী জবাব দেবো? আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাঞ্ছারামপুরের মেধাবী ছাত্র প্রকৌশলী মিনহাজকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে। চাকরির সুবাদে সে ঢাকা অবস্থান করত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনের যুক্ত ছিল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। তার কারণে অনেকে চাঁদাবাজ করতে পারত না। এরই জের ধরে আরফান সরকার মাহফুজ কিং তার দলবল নিয়ে মিনহাজেরর উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপাতে থাকে।
ঘটনার পরপরই তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে একইদিন বিকালে চিকিৎসারত অবস্থায় সিথিল মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশসহ তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কেকে/এএম