সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
দেশজুড়ে
লক্ষ্মীপুরে বেড়েছে সারের দাম, বিপাকে কৃষকরা
ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, লক্ষ্মীপুর
প্রকাশ: রোববার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:২০ পিএম আপডেট: ১৫.১২.২০২৪ ৭:৩২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে রবি মৌসুমের শুরুতে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন উপজেলার ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। তবে, কোনো কৃষকই জানেন না যে, সারের সরকারি মূল্য কত।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর বাজারের সাব ডিলার মো. আবদুল মাজেদ জানিয়েছেন, প্রতি মৌসুমের শুরুতে সারের সংকট দেখিয়ে দাম বেড়ে যায়। চলতি মৌসুমে নভেম্বর মাস থেকে সারের দাম বৃদ্ধি পায়।

মাজেদ বলেন, বর্তমানে ৫০ কেজি দেশীয় ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সারের দাম বেড়ে সাড়ে ১১শ টাকার বেশি হয়েছে। পাইকারি দাম ২৫শ টাকা হলেও খুচরায় প্রতি কেজি ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এর দাম ছিল ১৩৫০ টাকা। এছাড়াও, বিএডিসির এক বস্তা টিএসপি সারের দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা, মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) এবং দেশীয় ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) সারের দামও বেড়েছে। ইউরিয়া সারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।

চর মনসা গ্রামের সবজি চাষী আবুল বারাকাত জানান, তিনি চলতি সপ্তাহে ইউরিয়া সার কিনেছেন প্রতি কেজি ৩৫ টাকা দামে এবং টিএসপি কিনেছেন ৭০ টাকা কেজি দামে। তিনি জানান, অন্যান্য সারের দামও বেড়েছে।

কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, পরিবেশকরা (ডিলার) কৃষকদের কাছে সার বিক্রি না করে, অতিরিক্ত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। পরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কৃষকরা বেশি দামে সারের ব্যবস্থা করছেন।

লক্ষ্মীপুরের সারের ডিলার আক্তার এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. আরিফ বলেন, কিছু কিছু সারে সংকট থাকে এবং সময় মতো সেগুলি উত্তোলন করা যায় না।

এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তারা দাম বৃদ্ধির কথা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, সারের কোনো সংকট নেই। অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক সোহেল মো. শামছুদ্দিন ফিরোজ বলেন, সারের কোনো সংকট নেই। অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির কোনো অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। তিনি আরও বলেন, কৃষকরা যদি ক্যাশ মোমো দেখাতে পারে তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, কৃষক আবদুজ জাহের এবং খুচরা বিক্রেতা মাজেদ ও বাতেন জানিয়েছেন, ডিলাররা কৃষকদের ক্যাশ মেমো দেয় না এবং বাজারে পর্যাপ্ত সার নেই।

কেকে/এএম

 
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে : তানভীর হুদা

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close