সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “সত্যিকারের সংস্কারের জন্য অবকাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। সকল স্তরের নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।”
তিনি বলেন, “দেশে যে কোনো জায়গায় নারী ও শিশু নির্যাতনের তথ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পৌঁছাতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে ভিকটিমের কাছে পৌঁছে যাবে।”
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫-এর গৃহীত কার্যক্রম উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “১৬ দিনব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ আগামীকাল ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এবং এটা শেষ হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর। এই সময়কালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটা কর্মকর্তা-কর্মচারী নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কর্মতৎপর ও সচেষ্ট থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “এ কার্যক্রম শুধু ১৬ দিনের নয়, সারা বছর চলতে থাকবে। একটি আলোকিত সমাজে নারী ও শিশুদের প্রতি যে স্বাভাবিক সম্মানবোধটুকু থাকে সেটা যখন ভাঙতে শুরু করে সেই সমাজ কিন্তু সার্বিকভাবে ভাঙতে থাকে। আমরা এটার একটি চরম রূপ দেখেছি গত ১৬ বছরে একটি স্বৈরাচারী পরিবেশে। এ রূপ আমরা আর দেখতে চাই না। আমরা সরকার গঠনের পরে নারী ও শিশুদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”
এতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ আরআই