বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান রতন বলেছেন, আমি সংসদে গেলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে জনগণ।
তিনি বলেন, ‘জনগণের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে আমি আমার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ কাজ করে যাব। আমি এবং আমার কোনো নেতাকর্মী যদি ভুল করি আপনারা প্রকাশ্যে আমাদের সমালোচনা করতে পারবেন।’
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জেএমআই রেস্টুরেন্টে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কয়েক মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তাদের আমলে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। এখনো পর্যন্ত ফুলদী নদীর ওপর সেতু হয়নি, গজারিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে আজও বিচ্ছিন্ন গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন। আমি যদি সংসদে যেতে পারি আমার প্রধান কাজ হবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা। আপনাদের সাক্ষী রেখে আমি বলছি, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ ও গুয়াগাছিয়ায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
সমসাময়িক প্রসঙ্গ টেনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনটি শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা—এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনটি শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটি বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৌশলগত কারণে প্রাথমিকভাবে বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের যে তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের নাম ছিল না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস অচিরেই এই আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করবে।’
এসময় তার সাথে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম ভিপি মাসুম, গজারিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক একেএম গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ ফারুক, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক রাসেল দেওয়ান, ভবের চর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল আমিন সরকার, গজারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
কেকে/এজে