নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের বন্ধ থাকা চারটি কারখানা খুলবে মঙ্গলবার থেকে। শ্রমিক আন্দোলনের মুখে চার খারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল গত ২৬ অক্টোবর।
এরপর থেকে কয়েক দফায় মালিক, শ্রমিক এবং বেপজা কতৃপক্ষ আলোচনা করে সোমবার (৩ নভেম্বর) এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত ২৫ অক্টোবর বেতন ভাতা এবং ওভারটাইম বৃদ্ধির দাবিতে উত্তরা ইপিজেডের দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেডের শ্রমিকরা আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলনকে অবৈধ ও অঘোষিত শ্রমিক ধর্মঘট, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, কর্মবিরতি এবং উৎপাদন ব্যাহত করার কারণ উল্লেখ করে ২৬ অক্টোবর থেকে এসব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে মালিক পক্ষ।
এ বিষয়ে সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, “২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ছিল। এরপর শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় সমঝোতা হলে মঙ্গলবার থেকে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়। ওই কারখানায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।”
ইপিজেড সূত্র জানায়, শ্রমিক ধর্মঘটের প্রেক্ষিতে গত ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ইডিপজেড শ্রম আইন ২০১৯ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী ওই চার কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ওই চার কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, “শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এসব কারখানার শ্রমিকদের যথানিয়মে কাজে যোগদানের নোটিশ জারী করা হয়েছে।”
কেকে/ আরআই