ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ঐতিহ্যবাহী আনন্দবাজারের বাঁশবাজারের লিজ বাতিল, আটক ব্যবসায়ী নেতা জহিরুল ইসলাম খোকনের মুক্তি ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে শহরের নিউমার্কেট, আনন্দবাজার, সড়কবাজার, লাখীবাজার ও টানবাজারের সহস্রাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এই কর্মসূচি পালন শুরু হয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে আনন্দবাজার এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম, আনন্দবাজার মাছ ও শুঁটকি মহলের যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসানাত ভজন, সড়কবাজার ব্যবসায়ী মোখলেছ আহমেদসহ বিভিন্ন বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে বাঁশবাজার এলাকায় ব্যবসায়ীদের মালামাল ওঠানামার সুবিধার্থে একটি ট্রাক টার্মিনাল স্থাপনের দাবি জানানো হলেও প্রশাসন তা উপেক্ষা করে সম্প্রতি গোপনে ৩৩ জন ব্যক্তির নামে খাস জায়গাটি লিজ দিয়েছে। তবে লিজগ্রহীতাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
তাদের দাবি, এই লিজ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সেই অর্থের হিসাব গোপন রাখতেই লিজ ইস্যু নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
এরই মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগে দুইটি মামলা দায়ের করা হয় এবং বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) গভীর রাতে সড়কবাজার কমিটির সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী নেতা জহিরুল ইসলাম খোকনকে নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে জেলার প্রধান পাঁচটি বাজার একযোগে বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা পণ্য না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ব্যবসায়ী নেতারা ঘোষণা দেন, বাঁশবাজারের লিজ বাতিল এবং আটক নেতা জহিরুল ইসলাম খোকনের নিঃশর্ত মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
কেকে/এমএ