কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানে টহলরত অবস্থায় দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বনপ্রহরীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বনপ্রহরী মো. আরমান হোসেনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ভোরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খুটাখালী হাইস্কুল এলাকার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ও বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভোরের দিকে টহলরত বন বিভাগের মোটরসাইকেল আরোহীরা বাজারমুখী পথে খুটাখালী হাইস্কুল এলাকায় পৌঁছালে কক্সবাজারমুখী মারছা পরিবহনের একটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
আহতরা হলেন—চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার বসুয়া গ্রামের মো. মাহবুব আলমের ছেলে বনপ্রহরী মো. আরমান হোসেন, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর মেদাকচ্ছপিয়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে সিপিজি সদস্য আবুল কাসেম এবং মধ্য মেদাকচ্ছপিয়া গ্রামের মৃত কবির আহমদের ছেলে হেডম্যান মকতুল হোসেন। আহতদের মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি জব্দ করে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন।
মালুমঘাট হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, বন পাহারাদলের সদস্যদের বহনকারী মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে বাসটি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছি, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
কেকে/ আরআই