উত্তরায় ‘ছাত্র সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি ও নানা অপকর্মে জড়িত আসাদুজ্জামান আকাশকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
এদিকে আকাশ ও তার দুই সহযোগীকে আটকের পর সম্প্রতি তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে সামাজিক মাধ্যমে কিছু পুরোনো ছবি পোস্ট করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছেন। যেখানে বলা হচ্ছে- সেনাবাহিনী কর্তৃক তাদেরকে আটকের পর নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ, যে ছবিগুলো দেখানো হয়েছে এগুলো পুরোনো। এ ঘটনার সাথে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মিথ্যা প্রচারণা এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির একাধিক প্রমাণ মিলে। এরপরই সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার করে আকাশ ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা দাবি করতেন। অনেকে ভয়ভীতির কারণে বাধ্য হয়ে তার দাবিকৃত অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমরা বহুদিন ধরে এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলাম। অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
উত্তরার সাধারণ মানুষ এই গ্রেফতারকে স্বস্তিদায়ক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, সেনাবাহিনীর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের ফলে এলাকায় আবারও শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ফিরে এসেছে।
কেকে/ আরআই