চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে ঢাকার ধানমন্ডির একটি বাসভবনে ঘুমের মধ্যেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস করেন তিনি।
তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গার রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে জানাজা নামাজ শেষে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) চিকিৎসার জন্য মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু ঢাকায় গিয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে রোববার (৫ অক্টোবর) তার কিছু মেডিকেল টেস্ট করার কথা ছিল। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে ঢাকার ধানমন্ডিতে ছোট ভাইয়ের বাসায় একাই অবস্থান করেছিলেন তিনি। রাত দেড়টার দিকেও তার স্ত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনযোগে কথা হয় তার।
পরিবারের সদস্যরা রোববার সকাল থেকেই একাধিকবার তাকে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে দুপুর ১২ টার দিকে তার ছোট ভাই রাতুল ও পরিবারের সদস্যরা ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
জানা যায়, মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু চুয়াডাঙ্গার কোর্টপাড়া নিবাসী। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। তার তিন ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী, মেজো ছেলে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং ছোট ছেলের বয়স মাত্র ৬ বছর। তার এই অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গভীরভাবে শোক জানিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর বলেন, ‘রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমরা তার মৃত্যুর খবরটি জানতে পারি। সন্ধ্যার দিকে তার লাশবাহী গাড়িটি ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শোক
মির্জা শিপলুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনে গভীরভাবে আস্থাশীল মরহুম মির্জা শিপলু চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী, গতিশীল ও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছেন। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। আমি তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত হয়েছি। আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন মির্জা শিপলুকে জান্নাত নসীব এবং শোকাহত পরিবারবর্গকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন।”
মির্জা ফখরুল শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়াও মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলুর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরীফ, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফুজ্জামান সিজার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণত সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।
কেকে/এমএ