কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক পুলিশ সদস্যকে আটকে রেখে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নাম বিল্লাল হোসেন ওরফে বিল্লু। তিনি দেবিদ্বার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাড়ি পৌর এলাকার আলমপুরে। তিনি ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—দেবিদ্বার উপজেলার সুবীল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় এলাকার হারুনুর রশিদের মেয়ে তাসলিমা আক্তার এবং হেলাল খান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—দেবিদ্বারের বুড়িরপাড় এলাকার ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম, গুনাইঘর দৌলতখানের ছেলে হেলাল খান ও কামাল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বিল্লু এবং চাপানগরের আবু তাহেরের ছেলে কানা জালাল।
ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য আবু কাউছারের স্ত্রী ও মামলার বাদী ইশরাত জাহান বলেন, আমার স্বামী বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় কর্মরত আছেন। গত ১ অক্টোবর আমার স্বামীর চাচি আমেনা বেগম জমি দেখানোর কথা বলে তাকে খবর দেন। ছোট আলমপুর এলাকায় গেলে তাকে একটি জমি দেখান তিনি। জমি পছন্দ হলে আমার স্বামীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি মাদ্রাসা ভবনের পঞ্চম তলায় গিয়ে কথাবার্তা চূড়ান্ত করার কথা বলে রুমের ভেতর আটকে রাখা হয়। সেখানে তাছলিমা আক্তার, আমেনা বেগম, হেলাল খান, কামাল, বিল্লু ও জালাল তার ওপর হামলা করেন। এ সময় তার কাছে থাকা নগদ ১৩ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেয়। তারা তখন আমার স্বামীর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বিভিন্ন জায়গায় কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে তারা ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন। তিন ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার পর ছেড়ে দেন তাকে।
তিনি আরও বলেন, বিবাদীরা সবাই আবু কাউছারকে তার প্রথম স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে ২০ লাখ টাকা কাবিনে পুনরায় বিবাহ করতে বলেছিলেন। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারায় নির্যাতন করা হয়।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বিল্লাল হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্য আবু কাউছারকে তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দেখার পর আমার এলাকার ছেলেরা আটক করে। আমি গিয়ে যখন শুনেছি আবু কাউছার পুলিশ সদস্য, তখন আমি সেখান থেকে চলে আসি। দেবিদ্বার থানার ওসি আমার নাম শুনে এই মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, পুলিশ সদস্যের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে তার স্ত্রীর করা মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুজনকে আদালতে পাঠানো হবে।
কেকে/ আরআই