নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বেনীপুর থেকে বেগুনবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়ক এখন জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন অন্তত ১০ গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষ।
এই সড়ক দিয়েই পার্শ্ববর্তী পোরশা ও সাপাহার উপজেলায় সহজে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু বহুদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। উঠে গেছে পিচঢালা অংশও। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করছেন।
এদিকে রাস্তার করুণ অবস্থা দেখে নিজ উদ্যোগে সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম।
এলাকাবাসী বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর এই দুর্ভোগের দৃশ্য দেখে নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন নুরুল ইসলাম। তিনি রাস্তার খানাখন্দগুলো ইট দিয়ে ভরাট করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন। তার এই স্বতঃস্ফূর্ত পদক্ষেপ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ভ্যানচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, এই রাস্তায় মানুষ যেতে চায় না। অনেক সময় লাগে। ভ্যানেরও অনেক ক্ষতি হয়। বল বিয়ারিং ভেঙ্গে যায়। যাত্রীরা বিরক্ত হয়। তারপরেও যাতায়াত করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। আর আমাদের এই কষ্টের কথা জানতে পেরে নিজ উদ্যোগে বিএনপির এই নেতা রাস্তাটি ইট দিয়ে সংস্কার করে দিচ্ছেন। সত্যিই তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
পথচারী রবিউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। নুরুল ইসলামের মতো এই নেতা আমাদের ১০ গ্রামের মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে ইট বিছিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে এই রাস্তা সংস্কার করে দিলেন। সত্যিই তিনি একজন ভালো মানুষ।
নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা পৌঁছে দিতে কয়েকদিন আগে এই এলাকায় এসেছিলাম। তখন আমি এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল কিভাবে এলাকার মানুষেরা চলাচল করে। তাদের তো কষ্টের শেষ নেই। আর এই রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকে প্রতিদিন। তাদের কষ্ট দেখে মনে হয়েছে আমার কিছু একটা করা দরকার। তাই নিজের উদ্যোগে ইট দিয়ে খানাখন্দগুলো ভরাট করছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল আর থাকবে। তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমিও জনগণের সেবায় এই উদ্যোগ নিয়েছি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। রাস্তাটি সংস্কারের ফলে মানুষের চলাচলে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে।
কেকে/ আরআই