বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সীমাহীন চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতা সম্পর্কে দ্রুত শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেছেন, ‘গত ১৪ মাসে এই খাতে জালিয়াতি ও বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধ হয়নি।’
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার তোপখানা রোডেস্থ জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে আয়োজিত বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির মতবিনিময় সভায় সাইফুল হক এ আহ্বান জানান।
গাইবান্ধা বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতি এ সভার আয়োজন করে।
সভায় সাইফুল হক বলেন, ‘ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে অসম বিদ্যুৎ চুক্তি থেকে সরকার এখনও বেরিয়ে আসেনি।’
তিনি অনতিবিলম্বে হয়রানিমূলক প্রি-পেইড মিটার সংযোগ বন্ধ এবং বিদ্যুতের ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া বাতিল করার দাবি জানান।
সাইফুল হক জরুরি ভিত্তিতে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের আহ্বান জানান।
তিনি গণশুণানি ছাড়া আগামীতে কোন মেগা প্রকল্প গ্রহণ না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, ‘গত ১৬ বছরে বিদ্যুৎ খাতে যে হরিলুট হয়েছে, সে অর্থ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। পতিত সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে লুটপাটের বড় ক্ষেত্রে পরিণত করেছিল। অবস্থার এখনও বিশেষ কোন পরিবর্তন হয়নি। বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলসহ নানাভাবে জনগণকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতির আন্দোলনের দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের চুরি-দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ কেন শাস্তি পাবে? বিদ্যুৎ খাত লাভ করলে তাকে লোকসান দেখানো হয়।’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সমিতির নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, আসাদুর রহমান আজাদ, আন্দোলনের সংগঠক আব্দুর রহিম, আবদুল হালিম, হাসান নূর, মাহবুবুর রহমান সুমন, সিকদার হারুন মাহমুদ, বাবর চৌধুরী।
সভায় নেতৃবৃন্দ দ্রুত বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ৫ দাবি পূরণে এগিয়ে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
‘তা না হলে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’
কেকে/ এমএ