মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত স্বপন মিয়ার স্ত্রী শিল্পীর দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ও সমাজকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের টি ভ্যালী পার্টি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট রোডের বাসিন্দা মো. ইমদাদুল হকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মো. আকাশ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট রাতে মো. ইমদাদুল হকের ভাতিজা সজিব মিয়া (১৬) বাজার থেকে ফেরার পথে সোনার বাংলা রোড এলাকায় স্বপন মিয়া ও তার স্ত্রী শিল্পী অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা সজিবকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে হামলার দৃশ্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৬ আগস্ট ইমদাদুল হক থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলেও পুলিশ তা এজহার হিসেবে গ্রহণ করেনি। অথচ এর কয়েক দিন পরেই স্বপনের স্ত্রী শিল্পী একই ঘটনায় উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শ্রীমঙ্গল বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির প্রচার সম্পাদক মাঈনুল মিয়া, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য আক্তার মিয়া, শাহিন মিয়া, সৌরভ মিয়া, সোহান মিয়া, সাগর মিয়া ও মারুফ মিয়াসহ ৫০-৬০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মিথ্যা মামলার স্বাক্ষী হিসেবে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে দুইজন—জরিনা বেগম ও ঝুনু আক্তার—পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে জানান, তারা এ ঘটনার কোনো সাক্ষী নন এবং মামলার বিষয়ে অবগতও নন। এতে স্পষ্ট হয়, মামলাটি সাজানো ও ভিত্তিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, এফিডেভিট দেওয়ার পর থেকেই স্বপন বাহিনী মামলার স্বাক্ষীদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এ কারণে তারা এখন আত্মগোপনে রয়েছেন।
বক্তব্য নিতে স্বপন মিয়া ও তার স্ত্রী শিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মুঠোফোনে সাড়া মেলেনি।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘উভয় পক্ষের মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। কোর্টের আদেশে শিল্পীর মামলাও গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তের পর সত্য-মিথ্যা নির্ধারণ করা হবে।’
কেকে/ এমএ