গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গাকৃবি) সার্বিক সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
দিনব্যাপী আয়োজনে সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘তারুণ্যের উদ্ভাবনী শক্তি, কৃষি রূপান্তরের চালিকা শক্তি’ যা তরুণ প্রজন্মের গবেষণা ও উদ্ভাবনমুখী চিন্তাকে কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োগের আহ্বান জানানোর এক অনন্য উদ্যোগ।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম। তরুণদের উদ্যোক্তা বানানোর অভিপ্রায়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাকৃবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।
অনুষ্ঠানে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, গাকৃবির ৩৬০ জন শিক্ষার্থী, বিভিন্ন বিজ্ঞানী, কৃষি উদ্যোক্তাসহ বিএআরসি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএআরসির এইআরএস বিভাগের সদস্য পরিচালক ড. মো. মোশাররফ উদ্দিন মোল্লা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরসির এইআরএস বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুস সালাম। তিনি প্রবন্ধে দেশের কৃষি খাতে প্রযুক্তির প্রয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তার মোকাবিলায় তরুণদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কৃষির নানাবিধ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হওয়ার সফলতার গল্প তুলেন ধরেন ১১ জন উদ্যোক্তা। এর মধ্যে গাকৃবি থেকে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্নকারী শিক্ষার্থী ২ জন এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট সম্পন্নকারী ১ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। উদ্যোক্তাদের ভিন্ন ভিন্ন সফলতার উপর ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী শেষে তারা সফলতার গল্প শোনান এবং উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তরুণদের কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার উদ্বুদ্ধকরণে অনুষ্ঠিত এ আয়োজন কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উদ্ভাবনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত বিপ্লব ও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্ম। আমি বিশ্বাস করি, তারুণ্যের উদ্ভাবনী শক্তিই কৃষিকে রূপান্তরিত করার সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার।’
মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘স্বপ্নের কৃষি গঠনে তারণ্যই মূল শক্তি। এক্ষেত্রে ২০৫০ সালকে লক্ষ্য রেখে ২৫ বছর মেয়াদি কৃষি পরিকল্পনায় ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে হটস্পট হিসেবে ধরা হয়েছে। সরকার কৃষিবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
কেকে/এমএ