গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টায় মানবাধিকার সংস্থা "অধিকার"-এর ঠাকুরগাঁও জেলা নেটওয়ার্কের আয়োজনে শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি কোর্ট চত্বর ঘুরে পুনরায় চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি ফজলে ইমাম বুলবুল, মানবাধিকার কর্মী মাসুদ আহমেদ সুবর্ণ, নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি রাফিক সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। অতীতের কর্তৃত্ববাদী শাসনের সময় গুমকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী ও সাধারণ মানুষ এ অপরাধের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আজও নিখোঁজ, কেউ কেউ ফিরলেও রয়েছেন মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলহাজতে কিংবা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে।
তারা আরও বলেন, ২০০৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গুম হওয়া থেকে সমস্ত ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদ (আইসিপিপিইডি) গৃহীত হলেও দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকার এই সনদটি অনুমোদন করে, যা মানবাধিকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
এ সময় অধিকারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
কেকে/ আরআই