সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাকসুদ আলমকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও মানহানিকর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাব ও সোনাইমুড়ী প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, সৈয়দ মো. শহিদুল ইসলাম, সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, মোশারফ হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক, মো. সেলিম মিয়া, সোনাইমুড়ী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, সামসুল আরেফিন জাফর, খোরশেদ আলম, সিনিয়র সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মানিক, বেলাল হোসেন ভূঁইয়া, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন, অপপ্রচারের মাধ্যমে একজন সৎ ও প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিককে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে, যা নিন্দনীয় এবং সাংবাদিকতা নীতিমালার পরিপন্থি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক মাকসুদ আলম তার বক্তব্যে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার পাশাপাশি, তিনার নিজ এলাকায় মানুষের সেবা করা সহ নিজ গ্রাম আনন্দীপুর তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা কমিটি,আনন্দীপুর পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ কমিটি,আনন্দীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও ক্যাপ্টেন (অব.) লুৎফুর রহমান স্মৃতি সংসদসহ সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সহিত বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সম্প্রতি তার সামাজিক কর্মকাণ্ডে ইর্ষা পরায়ন হইয়া সামাজিক ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার লক্ষে, সমাজিক অঙ্গনে হেয় প্রতিপন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্রে একটি অপরাধী চক্র গোপনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ধরনের নিন্দনীয় কাজ ৫ই আগস্ট এর পর থেকে চালিয়ে আসছে। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালে শেষের দিকে স্থানীয় আনন্দীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানে আগত তৎকালীন এমপি এইচ এম ইব্রাহিমের আগমনে, তাকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে, আমি ফুল দিয়ে বরণ ও সোনাইমুড়ী সাব রেজিস্ট্রি অফিসে লিখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক থাকা কালে, লিখক সমিতির ভবন অনুমোদন অনুষ্ঠানে, এপিএস জাহাঙ্গীর আলমের সহিত একই ফ্রেমের ছবি দিয়ে, বিভিন্ন সময়ে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এই কুচুক্রি মহল এবং আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেক ফেসবুক আইডি এবং পেইজ থেকে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা,বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক ভুয়া তথ্য সংবলিত বিভিন্ন লিখনিতে শেয়ার পোস্ট, লাইক কমেন্টসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমার মানহানি ও সামাজিক সম্মানহানীর ঘটনা সংগঠিত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রতিকার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি নিজে বাদী হয়ে পুলিশ সুপার নোয়াখালী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তাই আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, যত দ্রুত সম্ভব, ফেসবুক আইডিসমূহ চিহ্নিতকরণসহ অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় সোনাইমুড়ীতে কর্মরত সাংবাদিকসমাজ এ ঘটনার কঠোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এএস