মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় মধুমতি নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) উপজেলার মহম্মদপুর, বাবুখালি ও পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া, রায়পাশা, চর পাচুরিয়া, নৈহাটির চর, হরেকৃষ্ণপুর, ঝামা, চর ঝামা, দেওলি আরো অন্যান্য নদী পাড়ের ভাঙনকবলিত এলাকায় দুই শতাধিক পরিবারের হাতে জরুরি ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনুর আক্তার।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে চাল, ডাল, আটা, তেল, লবণ, মোমবাতি, দিয়াশলাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়। এসব সামগ্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ত্রাণ হিসেবে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এ উদ্যোগকে স্বস্তিদায়ক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘বন্যা ও ভাঙনে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। প্রশাসনের এই সহযোগিতা আমাদের কিছুটা হলেও সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনুর আক্তার জানান, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশেই ভাঙন ও বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে আরো সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো আমি সরজমিনে দেখেছি এবং কিছু দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জিওব্যাগ ফেলানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন স্থানীয়দের।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৫ আগস্ট ‘খোলা কাগজে’ প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছিল, টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে মধুমতি নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে শত শত একর ফসলিজমি প্লাবিত হয় এবং বিভিন্ন গ্রামে তীব্র ভাঙনের কারণে ঘরবাড়ি, বিদ্যালয় ও স্থাপনা বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এ এলাকার বৃহৎ অংশ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কেকে/এএস