গেল কয়েকদিনের উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার তিস্তা তীরবর্তী পরিবারগুলোর মধ্যে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
পাউবো সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এ বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হতে পারে। এতে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি হওয়ার পাশাপাশি তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে শত শত হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত, যা স্থানীয় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে ফেলবে। নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে যেতে পারে মৎস্য চাষিদের স্বপ্ন, তাদের দীর্ঘদিনের বিনিয়োগ ও প্রচেষ্টাকে ভেস্তে দিতে পারে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন এটি স্থিতিশীল থাকতে পারে। উজানের ঢল এবং ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বাড়ছে এবং এর ফলে কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে, তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির চাপ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ইতোমধ্যে চরের মানুষদের সতর্ক করা হয়েছে এবং তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
কেকে/এএম