রাজশাহীর তানোরে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক পাকাবাড়ি নির্মাণ করছেন প্রভাবশালী প্রতিপক্ষরা। কিন্তু পুলিশ নীবর দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। এ ঘটনায় সর্বমহলে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (১৯ -২৮ জুলাই) থেকে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশ ম্যানেজ করে আইন আদালতকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে স্থানীয় একদল রাজমিস্ত্রি দিয়ে দেদারসে পাকাবাড়ি নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
এনিয়ে ভুক্তভোগী আমশো গ্রামের বাসিন্দা মৃত সোবহান সরকারের পুত্র মো. হুরমত আলী সরকার (৪৮) বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ১০ জন নামধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাড়ি নির্মাণ বন্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমন অভিযোগের ১০ দিনেও কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তানোর থানা পুলিশ।
তবে, বিজ্ঞ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য গত ৫ জুলাই তানোর থানার এএসআই খাইরুল ইসলাম প্রতিপক্ষকে নোটিশ প্রদান করেছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৫ সালের আগামী ২৭ আগস্ট ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত নালিশি সম্পত্তিতে প্রতিপক্ষের প্রতি বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক অস্থায়ী অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। আদালতের আদেশ অব্যাহত রাখার জন্য বর্ণিত স্থানে নালিশি তফশিল বর্ণিত সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে কোকো প্রকার শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গমূলক কার্যক্রম পরিচালনা না করার জন্য প্রতিপক্ষগণকে আদালতের আদেশ যথাযথ ভাবে পালনের জন্য বলা হয়। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে এএসআই খায়রুল ইসলামের ইন্ধনে ও সাহসে প্রতিপক্ষের লোকজন নতুন করে পাকাবাড়ি নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিপক্ষের দ্বারা ওই এএসআই প্রভাবিত হয়ে পাকাবাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেদারসে প্রতিপক্ষের লোকজন নতুন করে পাকাবাড়ি নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
এনিয়ে প্রতিপক্ষ সাইফুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, যেখানে নতুন করে পাকাবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে ওই জায়গাটি আমাদের দখলে রয়েছে। আর হুরমত আলী তাদের হয়রানি করবার জন্য আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি আমরা আইনগত ভাবেই মোকাবিলা করব। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গালিগালাজ হয়েছে। আর ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া কথাটি সত্য নয় বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তানোর থানার এএসআই খাইরুল ইসলাম জানান, তিনি উভয়পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে যার যার অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে নিষেধ করেছি। বর্তমানে সেখানে কী হচ্ছে তা তার জানা নেই। তবে, তিনি প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হননি বলে এড়িয়ে গেছেন।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে কাজ করার ব্যাপারে এএসআই খায়রুল ইসলামকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। এরপরও তার গাফলতি দেখা গেলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
কেকে/এএস