কক্সবাজারের চকরিয়ায় বসতঘরে ঢুকে আবদুর রহিম (৬০) নামে এক বৃদ্ধ গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন।
রোববার (২৭ জুলাই) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করেছেন পুলিশ। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালীস্থ আবদুল্লাহর দোকানের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধ আবদুর রহিম মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের মাঝের ডেইল এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালীস্থ আবদুল্লাহর দোকান এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন বৃদ্ধ আবদুর রহিম ও তার মেয়ের নাতি আদিবুর রহমান তুহিন ছাড়া বসতবাড়িতে কেউ ছিল না। সকালের দিকে নাতি তুহিন ও তার নানা একই সঙ্গে বসে খাবার খায়। নাতি খাবার খেয়ে স্থানীয় নুরানি মাদ্রাসায় চলে যায়। বিকালের দিকে মাদ্রাসা ছুটি শেষে নাতি তুহিন বাসায় ফিরে তার নানাকে না দেখে ডাকতে থাকেন। পরে বাড়ির একটি রুমের সামনে মাটিতে তার নানার রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দেখে সে বাড়ি থেকে দৌড়ে স্থানীয় লোকজন ও দোকানদারকে তার নানার লাশের খবর দেওয়া হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত বৃদ্ধ আবদুর রহিমের মরদেহ দেখতে পাই।
পরে বাড়ির পাশের এক মেয়ে নিহতের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম ও মেয়েকে মুঠোফোনে হত্যার ঘটনার খবর দেয়। এ সময় তারা নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপানো আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় তারা। স্থানীয় এলাকাবাসীর তথ্যমতে হত্যার ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাশ, চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দিনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই শফিকুল ইসলাম রাজা নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে লাশ থানায় নিয়ে আসেন।
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাশের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। আসলে এটি নৃশংস একটি হত্যাকাণ্ড। কী কারণে এই বৃদ্ধ লোকটিকে হত্যা করা হয়েছে তার ক্লু এখনো পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে তথ্য উদঘাটন সম্ভব বলে তিনি জানান।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের টিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
কেকে/এএস