ময়মনসিংহের ভালুকায় বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেল স্টেশন থেকে বিকালে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির।
সোমবার (১৫ জুলাই) ভালুকা পৌর শহরের টিএন্ডটি রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তালা বদ্ধ ঘর থেকে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার, ৭ বছরের কন্যা রাইসা জান্নাত এবং ২ বছরের ছেলে নীরবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। পরে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ লোকেশন ট্র্যাকিং করে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেল স্টেশন থানার পুলিশের সহযোগিতায় জয়দেবপুর রেল স্টেশন থেকে নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে ভালুকা পৌর শহরের টিএন্ডটি রোড এলাকার হৃদয় হাসান হাইয়ূমের ভাড়াবাসা থেকে তালা ভেঙে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন মডেল থানা পুলিশ।
রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। নিহতদের সঙ্গে একই বাসায় রফিকুলের ছোট ভাই নজরুল ইসলামও থাকতেন। ঘটনার পর থেকে রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।
ঘটনার রাতে কারখানায় কর্মরত ছিলেন রফিকুল ইসলাম সকালে এসে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের তালা ভেঙে খাটের ওপর স্ত্রী ও দুই সন্তানের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
রফিকুল আরো বলেন, গত আড়াই মাস পূর্বে চল্লিশ হাজার টাকা ঋণ করে আপন ভাই নজরুল ইসলামকে গাজীপুর জেলখানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন বলে জানন।
নিহত ময়না আক্তার তার মেয়ে রাইসা জান্নাত ও ছেলে নীরব মরদেহ আজ বাদ এশা ময়না আক্তারের বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কোল্লাব গ্রামে দাফন করা হবে।
কেকে/এএম