বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: শুক্রবার থেকে টঙ্গীতে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা শুরু      বন্যা-ভূমিধসে শ্রীলঙ্কায় নিহত ৪৪      দুদকের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ      বৃহস্পতিবারের উল্লেখযোগ্য সাত সংবাদ      ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’      নির্বাচনে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী : ইসি সচিব      ৪৫তম বিসিএস নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ, সুপারিশ পেলেন ৫৪৫ জন      
দেশজুড়ে
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী যমজ দুই বোনের এসএসসিতে জিপিএ-৫
এইচ এম আলমগীর কবির, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৫:১৩ পিএম
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী যমজ দুই বোন আভা ও আফিয়া। ছবি : প্রতিনিধি

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী যমজ দুই বোন আভা ও আফিয়া। ছবি : প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী যমজ দুই বোন আভা ও আফিয়া এবার এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন। এমনকি ইংরেজি পরীক্ষায় ২০০ নাম্বারের মধ্যে দুই বোনই ১৯৫ করে নাম্বার পেয়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী যমজ দুই বোন সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। জন্ম থেকেই তারা চোখে কম দেখেন। দূরের কিছু দেখতে পান না, কাছ থেকে বই সামনে এনে পড়তে হয়। সব সীমাবদ্ধতা পেছনে ফেলে এ সাফল্য তাদের বড় এক অর্জন।

শিক্ষার্থী আফিয়া আক্তার বলেন, লেখাপড়ার সময় আমার চোখের সমস্যাটাই ছিল সবচেয়ে বড় বাধা। বোর্ডে লেখা ঠিকমতো দেখতে পেতাম না। স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তা পার হতে ভয় লাগত। অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে ভালো কলেজে ভর্তি হয়ে এইচএসসিতেও ভালো ফল করতে চাই। ভালো রেজাল্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বিসিএস পাশ করে একজন শিক্ষক হতে চাই বলে তিনি জানিয়েছেন।

অপর যমজ বোন আভা আক্তার বলেন, আমার চোখের সমস্যায় লেখাপড়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে কখনো মনোবল ভাঙেনি। বই দূর থেকে পড়তে পারি না, খুব কাছে এনে পড়তে হয়। স্কুলে যাওয়া, রাস্তা পার হওয়াসহ সকল কিছুতেই আমার সমস্যা হয়েছে। অনেক কষ্ট করেছি, তবুও থেমে থাকিনি। আমার স্বপ্ন বিসিএস ক্যাডার হবো।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর পিতা প্রকৌশলী গোলাম আক্তার বলেন, জন্ম থেকেই আমার দুই মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। মেয়েরা অনেক কষ্ট করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। এই জায়গায় আসতে ওদের খুব কষ্টকর ছিল। আমি এবং ওদের মা হাতে ধরে স্কুলে নিয়ে যেতাম। অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত থাকলেও কোচিং থেকে আনতাম। ওদের বন্ধুরা অনেক সহযোগিতা করেছে। স্কুল থেকে বাসায় ফিরে পড়তে বসতো। এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত লেখাপড়া করতো। আমি বলতাম, এত রাত পর্যন্ত পড়লে চোখের অবস্থা আরও খারাপ হবে। কিন্তু ওরা বলতো, পড়াশোনা না করলে কিছুই হবে না। আমি চাই ওরা ভালো কলেজে ভর্তি হোক। বিসিএস দিয়ে ক্যাডার হোক।

জময বোনের মা তানিয়া শাবনাজ বলেন, ছোট থেকেই দুই বোনের চোখে সমস্যা ছিল। বাসায় আলাদা দুইজন শিক্ষক রাখা হয়েছিল। ওরা পড়াশোনা ছাড়া কিছু বোঝে না। আমরা চেষ্টা করেছি সাহস দিতে। ওরা নিজেদের জন্য যেভাবে লড়েছে, সেটা অনেক বড় ব্যাপার। আমি ওদের ফলাফলে অনেক খুশি। দোয়া করি, ওরা দুই বোন যেন সামনে আরও ভালো করতে পারে।

শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, ওরা চোখে কম দেখে, কিন্তু পড়াশোনায় চমৎকার। ইংরেজির মতো বিষয়ে ২০০ নম্বরের মধ্যে ১৯৫ পেয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা তাদের থামিয়ে রাখতে পারে নাই। যদি সঠিকভাবে সহায়তা পায়, তাহলে বিসিএসের স্বপ্ন বাস্তব হবেই।

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী   যমজ   এসএসসি   জিপিএ  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জীবন্ত প্রতীক
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেনাপোলে প্রথম হাসপাতাল নির্মাণ করবে : তৃপ্তি
গঙ্গাচড়ায় ধান মাড়াই মেশিনের আগুনে ক্ষয়ক্ষতি
সুন্দরগঞ্জে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে স্প্রে মেশিন বিতরণ
ঐক্যের পরিবর্তে সমাজে অনৈক্য ও বিভাজন ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে

সর্বাধিক পঠিত

বাঞ্ছারামপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
চাঁদপুর-২ আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা রয়েছে: তানভীর হুদা
নাগেশ্বরীতে ১০ টাকার স্বাস্থ্য সেবা চালু
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১২.৫ ডিগ্রি
দুই ট্রলারসহ সেন্টমার্টিনে ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close