রাজবাড়ীর পাংশায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লে. অব. এস এম মতিউর রহমান জুয়েলের বাড়িসহ অন্তত ২৫টি বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকালে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫ আহত হয়েছে। এ ঘটানায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তির নাম মো. মুক্তি। তিনি ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আহতরা হলেন, ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে তছির আহম্মেদ(২৯), লুৎফর মোল্লার ছেলে তন্ময়(১৪), মুল্লূক মোল্লার ছেলে ইসমাইল(১৫), মৃত সমসের আলীর ছেলে তাওহীদ হোসেন(৫০) ও তানজীদ হোসেন(৪০)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় মাদক কারবারি বন্ধে ইউপি সদস্য মো. তানজীদ হোসেন বিভিন্নস্থানে এলোপাতারি গালমন্দ করেন। সে ঘটানার সুত্র ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লে. অব. এস এম মতিউর রহমান জুয়েলের বাড়ির গেটে হামলা চালানো হয়েছে।
ইউনিয়নের ১ নং ইউপি সদস্য মো. তানজীদ হোসেন বলেন, ইউনিয়নের মুল্লুক মোল্লার নেতৃত্বে প্রায় ৩০-৩৫ জন আমাদের এলাকায় হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় আমাকে হাতুড়ি পেটা করে। আমি গুরুত্বর আহত অবস্থায় মাগুরাতে আছি। এ বিষয়ে থানায় মামলা দেওয়া হবে। তবে বিভিন্নস্থানে গালমন্দ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এ ঘটানায় অভিযুক্ত মুল্লুক মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লে. অব. এস এম মতিউর রহমান জুয়েলের ভাতিজা কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, কেন, কি করণে, কোন উদ্দেশ্যে আমাদের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দন বলেন, ঘটানার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটানায় জড়িত থাকায় মুক্তি নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/ এমএস