সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
দেশজুড়ে
ভুতুড়ে বিলের কবলে গোপালপুরের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা
মো. নুর আলম, গোপালপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ২:৫৩ পিএম
ছবি : প্রতিনিধি

ছবি : প্রতিনিধি

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ পিবিএস-১ এর গোপালপুর জোনাল শাখার গ্রাহকরা। এ ভুতুড়ে বিলের সর্বস্বান্ত হচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা, তাদের দাবি এর থেকে নিস্তার পাওয়া দরকার, এমন ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইল গোপালপুর উপজেলা সর্ব পশ্চিমে যমুনা নদী তীরবর্তী গ্রাম সোনামুই ও পূর্ববর্তী মধুপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নারায়ণপুর গ্রামে।

অন্তত ৪০ এর অধিক গ্রাহক অভিযোগ তুলে বলেন; মিটারে ব্যবহৃত ইউনিটের চাইতে ৫০-২০০ইউনিট বেশি বিল করা হয়েছে। মিটার না দেখে অনুমান করেই বিল করা হয়েছে। এ কারণে তারা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন, অনথ্যয় জরিমানা দিতে হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১-৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে ভ্যাট ব্যতিত ৫.২৬ টাকা বিল ও ৭৬-২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে অতিরিক্ত ৭.২০টাকা হারে বিদ্যুৎ বিল করা হয়। এতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দিতেও বাধ্য হতে হয়।

ধোপাকান্দি ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তাওফিক আহমেদ বলেন, ৮ তারিখে ৬৬৩০ ইউনিট রিডিং লেখা হয়েছে, অথচ আজকে ৩০ তারিখে মিটারে রিডিং আছে ৬৫৭৫ইউনিট। তার অভিযোগ, অতিরিক্ত ইউনিট এর ব্যাপারে অফিসকে অবগত করলে, তারা পরের মাসে সমন্বয় করবে বলেও সমন্বয় করেন না। আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মিটারে বেশি রিডিং লেখা হয়েছে। তারা মিটার না দেখেই এমন ভুতুড়ে বিল বানাচ্ছে।

ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই গ্রামের বিধবা রহিমা বেগম বলেন, আজকে ৩০ তারিখ মিটারে আছে ১১০৫ ইউনিট, অথচ ৮ তারিখে রিডিং লেখা হয়েছে ১২৬৫ ইউনিট। এভাবে অতিরিক্ত বিল বাড়তি চাপিয়ে দিয়ে, আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমার স্বামী-সন্তান নাই এতো বিল আমি কীভাবে পরিশোধ করবো। সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে আবার জরিমানা ধরে।

সোনামুই মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সদস্য বিপ্লব খান বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মিটারেই অতিরিক্ত রিডিং লেখা হয়েছে। আমাদের মসজিদে মিটারে আজকে পর্যন্ত ১৬৮৬ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করা হয়েছে, অথচ ২০দিন আগে বিল করা হয়েছে ১৭২০ ইউনিট। এভাবে বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া বন্ধ করা না হলে আমরা গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।

গোপালপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, রিডিং লেখতে ভুল হতেও পারে, এরকম গ্রাহক যদি আসে কেউ তদন্ত করে আমরা সেটা ঠিক করে দিচ্ছি। গত নয়দিনে ১২-১৪টির মতো ঠিক করেছি। আমার এখানে ৭৫ হাজার গ্রাহক অথচ লোকবল সীমিত। কতজন গ্রাহকের এমন ভুল হয়েছে তার কোন তথ্য নেই।

না দেখে রিডিং করার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা রিডিং দেখতে ফিল্ডে লোক পাঠাই।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
কালাইয়ে বিএনপির গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close