লালমনিরহাটের দুটি উপজেলার তিনটি সীমান্ত দিয়ে ১২ জনকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শনিবার (১৪ জুন) ভোর থেকে দিনভর এই চেষ্টা চালানো হয়। এই ঘটনায় তিনজনকে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার ভোরে হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ তিনজনকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঠেলে দেয়। সকালে গ্রামবাসীরা তাদের দেখতে পেয়ে আটক করে প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যান এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করলেও তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
একই উপজেলার পূর্ব সারডুবি সীমান্তে আরো তিনজনকে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। তবে সেখানে বিজিবি ও গ্রামবাসীর সম্মিলিত প্রতিরোধে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে।
এদিকে, পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভোরে আরো ছয়জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। তবে বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে পুনরায় কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে ফেরত পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি। বিজিবি জানায়, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হবে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মো. মাহমুদুন-নবী জানান, গোতামারী সীমান্তে থেকে ৩জনকে আটক করেছে এলাকাবাসী। তাদের আটকের পর বিজিবি হাতে তুলে দেয়। পরে তাদের থানায় দেয়া হয়েছে। তাদের দাবি তারা বাংলাদেশি নাগরিক। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখালে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কেকে/এআর