দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পর নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস আবারও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। পাসপোর্ট অফিসকে দালাল মুক্ত করা হবে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রাশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
রোববার (৪ মে) সকালে আবেদন গ্রহণের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। জেলায় পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই জালকুড়িতে এ ভাড়া ভবনে চলতো এর কার্যক্রম। পরে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের পাশের ২৫ শতাংশ জমির ওপর নিজস্ব ভবনে ওঠে পাসপোর্ট অফিস।
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা চালিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অফিসটি। এরপর থেকে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৪ মাসের সংস্কার কাজের পরে ভবনটি নতুনভাবে ব্যবহারের উপযোগী হয়েছে। গত মাসে উদ্বোধনের কথা থাকলেও সার্ভার জটিলতার কারণে তা পিছিয়ে যায়।
অন্যদিকে রোববার সকালেই পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পরিদর্শন করে প্রতিষ্ঠানটিকে দালাল মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রাশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এসময় তিনি বলেছেন, পাসপোর্ট হচ্ছে একজন নাগরিকের জাতীয়তার অন্যতম একটি ডকুমেন্ট। দীর্ঘ ৯ মাস এই অফিসটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ জেলার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। নতুন করে কার্যক্রম শুরু হলো। প্রতিষ্ঠানটি যেন তাদের সেবা নিশ্চিত করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কেউ যেন অপ্রয়োজনীয়ভাবে হয়রানির শিকার না হন। সেবাপ্রত্যাশীরা যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবা পান, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপপরিচালক জামাল হোসেন বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই সম্পূর্ণ দালালমুক্ত এবং নিরিবিলি পরিবেশে জনগণের কথা বিবেচনা করে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সঠিক সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাব। জুলাই মাসে প্রায় ৫ হাজার পাসপোর্ট পুড়ে গেছিল। সেখান থেকে প্রায় ৩ হাজার পাসপোর্ট আগারগাঁও থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। বাকিগুলোও সরবরাহের অপেক্ষায় আছে।
এদিকে সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই আবেদনকারীরা ভিড় করছে সেখানে। প্রথম দিনে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে নানা ভোগান্তির অভিযোগ মিলেছে।
কেকে/এএস