হাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের জন্য ইউএইচপিএলসি যন্ত্র পরিচালনার ওপর কর্মশালা
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
🕐 ৬:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
![হাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের জন্য ইউএইচপিএলসি যন্ত্র পরিচালনার ওপর কর্মশালা](https://www.kholakagojbd.com/media/main/2025/01/HSTU%20Pix%2019.02.24.jpg)
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শিক্ষকদের জন্য প্রথম পর্যায়ে অত্যাধুনিক গবেষণা যন্ত্র ইউএইচপিএলসি (আল্ট্রা হাই পারফর্মেন্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি) পরিচালনার ওপর দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের আগ্রহী (রেজিস্ট্রেশনকৃত) শিক্ষকগণের অংশগ্রহণে ইনভেন্ট টেকনোলজিস লিঃ এর সহযোগিতায় উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের মলিকুলার বায়োলজি ইউনিট। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডীন (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রব্বানী, ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং এর পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. হারুন—উর—রশিদ, এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগার উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. খালেদ হোসেন, কেন্দ্রীয় গবেষণাগার উন্নয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের মলিকুলার বায়োলজি ইউনিটের ইনচার্জ অধ্যাপক ড. মোঃ ইয়াছিন প্রধান। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগার উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ. টি. এম. শফিকুল ইসলাম। সঞালনা করেন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আতিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস ভাষার মাস। এ মাসে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ ও ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারির সকল ভাষা শহিদদের। তিনি বলেন, গবেষণার জন্য দামি দামি যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জায়গাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর মেইনটেইন করা টেকনিক্যাল বিষয়। তিনি বলেন, বিদেশে আমরা অনেকেই এই যন্ত্রপাতি গুলোর ব্যবহার করেছি, এটি যেন আমরা বাংলাদেশেও কন্টিনিউ করতে পারি সেজন্য এ ধরণের উদ্যোগ। রিসার্চের কোয়ালিটি বৃদ্ধি তথা অ্যাডভান্স রিসার্চের ক্ষেত্রে এই মেশিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, মলিকুলার বায়োলজি ইউনিটের পাশাপাশি খুব শীঘ্রই ডিজিজ ডায়াগনস্টিক ইউনিট এবং সেল ও টিস্যু কালচার ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হবে। ডিজিজ ডায়াগনস্টিক ইউনিটের ২১ টির মধ্যে ১৮ টি যন্ত্র চলে এসেছে। মানসম্পন্ন গবেষণার উপর গুরুত্ব প্রদান করেই এসব করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবো।
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় গবেষণাগার উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ. টি. এম. শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দশতলা একাডেমিক ভবন ও কেন্দ্রীয় গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল সাবেক মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর ও বর্তমান মাননীয় ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](https://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)