অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পুনরায় নির্বাচনের দাবি
ইয়াসিন মনি খান, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
🕐 ৫:১৮ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২৪
![অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পুনরায় নির্বাচনের দাবি](https://www.kholakagojbd.com/media/main/2025/01/141_2.jpg)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট, ভোট কেন্দ্রে ভাংচুর ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ও ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন। আজ বুধবার (২২মে) বেলা ১১টায় কসবা উপজেলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন দাবি করেন, গতকাল (২১ মে) অনুষ্ঠিত নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় নি। আমার এক হাজার কর্মীকে মেরে আহত করে তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৩৮টি কেন্দ্রে ৭০ হাজার ভোট ছাপিয়ে ফেলা হয়। কিছু কিছু কেন্দ্রে ৮টায় ভোট ছাপানো শুরু করেছে কিছু কিছু কেন্দ্র ১২টায়। আমাদের কাছে অনেক ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। আমরা প্রশাসনকে জানালে, তারা নীরব ভূমিকা পালন করে। পুলিশও নীরব ভূমিকায় ছিলো। ফোন করলে আসছি বলেও আসে নি, অথচ তাদের সামনেই ভোট কাটা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুটি অটল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রিজাইডিং অফিসার নিজে ভোট কেটেছেন তার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিপু নামক এক সাংবাদিকের নিকট। প্রিজাইডিং অফিসারও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়েছেন, আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন নি। যেসব কেন্দ্রে ভোট হয়েছে সেসব কেন্দ্রে আমি পাশ করেছি।
ভোটের পার্সেন্টেজের হিসেব টেনে তিনি বলেন, যেসব ভোট কেন্দ্রে পাঁচ পার্সেন্ট ভোটারও উপস্থিত হয় নি সেখানে ভোট দেখানো হয়েছে ৬০-৭০ পার্সেন্ট। রাশেদুল কাওসার বলেন, বাংলাদেশে এরশাদ সরকার, বিএনপি সরকারসহ কোন সরকারের আমলে এমন নির্বাচন হয়নি। কার কাছে বিচার চাইবো তা আমি বুঝতে পারছি না।
তিনি আইনমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলেন, মাননীয় আইনমন্ত্রী বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, হয়তো উনি চেষ্টা করেছেন কিন্তু পারেন নি। বিএনপি-জামায়াতসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই ভোট কেটেছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিচার চাই এবং নির্বাচন কমিশনের নিকট এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। মাত্র এক ঘন্টা ভোট হয়েছে তাতেই আমি ৩৯ হাজার ভোট পেয়েছি, যদি সারাদিন ভোট হতো তাহলে আমি ১থেকে দেড় লাখ ভোট পেতাম। ওসি সাহেবকে ফোন করেছি উনি বললো আমি দেখছি, ইউএনওকে ফোন করেছি উনি বললো দেখছি, ডিসি সাহেবকে ফোন করেছি উনি বললো দেখছি। সেইসঙ্গে তিনি ফাহিম নামে তার এক কর্মীর নিখোঁজ থাকার দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি কসবায় নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় নি। তাই আবারও প্রধান নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবি জানাচ্ছি এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, ছাত্রলীগের কসবা উপজেলা আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক প্রমুখ।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](https://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)