মেলা নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেল ছাত্রের
নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী
🕐 ৩:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় মেলায় নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে মাজহারুল ইসলাম শাওন (২১) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সেবারহাট বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাজহারুল ইসলাম শাওন উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাজারামপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির আবুধাবি প্রবাসী কচি মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় উত্তর রাজারামপুর বশিরিয়া আলিম মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাওনকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল উপজেলার সেবারহাট বাজারের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার আয়োজন করে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার। এজন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরমধ্যে বুধবার বিকেলে মেলায় চলে আসে ১৫-২০টি দোকান। একই দিন রাত ৯টার দিকে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের সাথে নিহত শাওন গ্রুপের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাতে সেবারহাট বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে হৃদয়ের নেতৃত্বে শাওনের বুকে, পেটে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং একই সময়ে পিয়াস নামে আরও এক তরুণকে গুরুত্বর আহত করা হয়। পরে তাদের গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। পিয়াসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, অনুমোদনহীন মেলা বসানো কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে মেলা বসানো ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত কিছু আসামির নাম আমরা পেয়েছি।
তিনি লেন, নিহতের পরিবার থেকে কেউ মামলা করতে থানায় আসেনি। মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।