জলাবদ্ধতা থেকে জমি রক্ষায় কৃষকদের মানববন্ধন
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৫:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২৪
জলাবদ্ধতা থেকে ফসলের মাঠ এবং এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাগ্রহণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলাধীন মির্জাপুর, রামচরণমুকুন্দ, দড়িমুকুন্দ, কানাইকান্দর-রাজবাড়ী, হাতিগাড়া, আড়ংশাইল, মদনপুর ও কৃষ্ণপুর মৌজার এলাকাবাসী ও কৃষকবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলাধীন মির্জাপুর ইউনিয়নের ব্র্যাক বটতলায় কয়েক গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এলাকাবাসী তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৭-৮ বছর যাবৎ বৃষ্টি হয়ে জলাবদ্ধতায় প্রতিবছর আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। হাঁস-মুরগী পশুপালন করা কষ্টকর হয়েছে, আবদ্ধ পানিতে হাঁটাহাটি করার ফলে বিভিন্ন রকমের পানিবাহিত রোগ হচ্ছে। শুধু তাই নয় যে জমিগুলোতে আমরা বছরে তিনবার ফসল ফলাতাম সেই জমিগুলোতে মাত্র একবার ফসল ফলাতে পারছি। ঠিকমতো ফসল ফলাতে না পারায় আমরা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক বিপর্যস্ত। ঠিকমতো সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছি না, সুষম খাবার খেতে পারছি না, রোগে শোকে চিকিৎসা নিতে পারছি না। এক কথায় আমাদেরকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আমরা চরম দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে অনেকবার ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, কৃষি কেন্দ্রসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। আশ্বাস দিলেও মেলেনি কোনো সমাধান। তাই আমরা আজ এই মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছি।
তারা আরো বলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- যেন দ্রুত ১২ শ একর ফসলি জমি রক্ষা এবং এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে একটা সুষ্ঠু সমাধান পায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সুমন জিহাদী বলেন, কিছুদিন আগের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় তারই প্রেক্ষিতে আমাদের উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার, মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান পানি চলাচলের জায়গাগুলোতে এলাকাবাসীদের ব্যক্তিগত সম্পদ থাকার কারণে পানি চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সম্পদের মালিকেরা তাদের সম্পদের পাশ দিয়ে পানি প্রবাহ করতে দিতে চান না। আমরা তাদের নিয়ে বসেছি কথা বলেছি। তারা পানি চলাচলের জায়গা খুলে দিতে রাজি হয়েছে। এবং চেয়ারম্যান লোকজন দিয়ে ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছেন। আমাদের প্রকৌশলীর মাধ্যমে আমরা খরচ নির্ধারণ করার চেষ্টা করছি। খরচটি আমাদের সক্ষমতার মধ্যে হলে আমরাই পরিষদের পক্ষ থেকে প্রকল্প দিয়ে দিবো। আর খরচ বেশি লাগলে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দিবো। আমাদের প্রকৌশলী এ বিষয়ে কাজ করছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো বলেন, আশা রাখছি একটা সুষ্ঠু সমাধান হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে এলাকাবাসীর সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন তিনি।