ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জিপিএ-৫ পাওয়া মানেই জীবনের সফলতা নয়

শাকির হোসাইন
🕐 ৩:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২৩

জিপিএ-৫ পাওয়া মানেই জীবনের সফলতা নয়

আজ শুক্রবার প্রকাশ হলো চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেছেন মাননীয় শিক্ষামনন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

 

এরপর থেকে এক উৎসব ও শঙ্কার মধ্যদিয়ে চলছে রেজাল্ট দেখার প্রতিযোগিতা। দীর্ঘ প্রতিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের এবার তাদের জীবনের এই ধাপটি অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। এরমধ্যে কে কত পেলো, কার চেয়ে কার রেজাল্ট ভালো এই আলোচনা–সমালোচনাও চেপে ধরেছে আমাদের সমাজের মস্তিষ্কে। যা আমাদের সন্তান–শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকটাই অশুভ ও অপ্রত্যাশিত একটি বিষয়।

আমরা অনেকেই মনে করি, ‘জিপিএ–৫’ কিংবা গোল্ডের ‘এ প্লাস’ ব্যতীত ভালো ফলাফল হয় না। অর্থাৎ, একজন ভালো শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য হলো– তাকে ‘জিপিএ–৫ কিংবা গোল্ডেন এ প্লাস’ পেতে হবে। আর এই চিন্তাটা আমাদের এতো বেশি প্রভাবিত করে যে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আমাদের অতিরঞ্জিত পর্যায়ে চলে যায়। এমনকি কম জিপিএ পেয়ে পাশ করা শিক্ষার্থীরা একধরনের মানসিক টর্চারের শিকার হয়। যে বিষয়টি আমরা চিন্তাও করতে চায় না।

এছাড়া, আমাদের উদ্দেশ্যকেই আমরা এমনভাবে ফায়সালা করে দিয়েছি যে, আমার সন্তান এবং আমার শিক্ষার্থীকে আমি ভালো জিপিএ দিয়েই মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাই। কিন্তু আমরা অনেকেই ভুলে যায় যে, ভালো জিপিএ–ই সবকিছু হতে পারে না বরং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের সৃষ্টিশীল প্রজন্ম গড়ার। যারা আমাদের দেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সহযোগিতা করবে। যাদের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

সর্বোপরি, ভালো জিপিএ এটা আমরা অবশ্যই প্রত্যাশা করি। তবে, জিপিএ চাপে যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনের অপ্রত্যাশিত–অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনার শিকার না হয় সে বিষয়টাও মনে রাখতে হবে।

সবশেষে, এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা উত্তীর্ণ সবাইকে অনেকে অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আর যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি অথবা খারাপ করেছে তাদের জন্যও রইলো শুভ কামনা ও দোয়া। সামনের দিনগুলোতে ভালো কিছু করবে এমনটা প্রত্যাশা রইল।

উল্লেখ্য, এসএসসি, এসএসসি দাখিল, এসএসসি ভোকেশনাল, দাখিল ভোকেশনাল ২০২৩ পরীক্ষার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০ জন। ছাত্রী সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন।

লেখক: উপাধ্যক্ষ, শহীদ এসএ মেমোরিয়াল ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেক্সটাইল কলেজ

 
Electronic Paper