ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নোয়াখালীতে কোটা আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ, আ.লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী
🕐 ৭:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৩, ২০২৪

নোয়াখালীতে কোটা আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ, আ.লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ

নোয়াখালীত কোটা আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শনিবার (৩আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে এ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও তাদের সমর্থকরা জেলা শহর মাইজদী বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিলে তারা বিভিন্ন সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী ও তাদের সমর্থকরা বিকেল ৪টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল মোড়ে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তারা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এরপর হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় তারা সেখানে কোনো বাধা ছাড়া ঘন্টাব্যাপী অবস্থান করে তান্ডব চালায়।

দলীয় একাধিক নেতাকর্মী জানায়, হামলার সময় সেখানে কোনো দলীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিল না। আন্দোলনকারীরা চলে গেলে পর দলীয় কিছু নেতাকর্মী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী বলেন, এ হামলায় কোটা আন্দোলনকারীরা নয়, দুস্কৃতকারী ও দুর্বৃত্তরা জড়িত ছিল। এরা এখন ছাত্র আন্দোলনে নয়, আছে জ্বালানো-পোড়ানো নিয়ে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে।

অপরদিকে, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলা, মামলা, হত্যার বিচারসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে নোয়াখালীতে ছাত্র, শিক্ষক-জনতার সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

এসময় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চৌমুহনী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও জনতা নিহতের সহপাঠীদের হত্যার বিচার ও দাবি মেনে নিতে বিভিন্ন শ্লোগানে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এছাড়াও আটক শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, দমন-নিপীড়ন বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

 
Electronic Paper