হয়রানির শিকার হলে সহযোগিতার আশ্বাস যবিপ্রবি প্রশাসনের
মোস্তফা গালিব, যবিপ্রবি
🕐 ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০২, ২০২৪
সমসাময়িক বিষয়কে কেন্দ্র করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা গ্রেফতার বা হয়রানির শিকার হলে সার্বিক সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথেও আলোচনা করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. হাফিজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)-এ অধ্যয়নরত কোন নিরপরাধ শিক্ষার্থী গ্রেফতার বা হয়রানির শিকার হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে যথাসম্ভব সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত সহযোগিতা গ্রহণের জন্য যবিপ্রবির সহকারী প্রক্টর জনাব মোঃ আকরাম হোসেন (মোবাইল নং: ০১৯২৬- ৯৬২৯২৫), জনাব মোঃ তানভীর হোসেন (মোবাইল নং: ০১৬৭৬-৩৯৫৩৩৬), এবং জনাব এস এম মনিরুল ইসলাম (মোবাইল নং: ০১৯৭২-৬৭২৩২১) এর সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হলো ।
বর্তমান পরিস্থিতে সকল শিক্ষার্থীর সার্বিক নিরাপত্তা ও মঙ্গল কামনা করে বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেন অহেতুক গ্রেফতার বা হয়রানির শিকার না হয়, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। এবিষয়ে প্রক্টর ড. মোঃ হাফিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, দেশে চলমান পরিস্থিতে যবিপ্রবির কোন নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেকোন ধরনের মামলা বা হয়রানির সম্মুখীন হয় তবে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন শিক্ষার্থীকে যেকোন ধরনের হয়রানির শিকার হলে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করছি।
অপরদিকে গত ৩০ জুলাই ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাতকে মাগুরা জেলার একটি খেলার মাঠ থেকে আটক করে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তুমুল সমালোচনাও করছেন অনেকে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, ঘটনাটি জানার পরই আমি মাগুরা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করি। প্রস্তাব জানাই যে, মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া যায় কি না। পরবর্তীতে মাগুরা অ্যাডিশনাল এসপি মোহাম্মদ তানভীরকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। এসপি সাহেবকে ফোন দিলে তিনি ৩০ মিনিট পর ফোন ব্যাক করে বলেন ওকে চালান দিয়ে দেয়া হয় বেশি বড় কোনো মামলা না তাকে ২ দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেয়া হবে।