অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজকের মধ্যেই গঠন করার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই- ২৪ ঘন্টার মধ্যে নির্দলীয় সরকারের কাজ সমাধন করতে হবে। আমি রাষ্ট্রপ্রতির কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, ২৪ ঘন্টা পার হয়ে যাচ্ছে। ২টার মধ্যে দয়া করে অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করুন। অন্যথায় দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা দেখা দিতে পারে।

আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মির্জা ফখরুল বক্তব্যের শুরুতেই ছাত্র জনতাকে অভিবাদন জানান। তিনি বলেন, যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এ বিজয় এনে দিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানাই। সকল রাজনৈতিক দলগুলোকেও অভিনন্দন জানাই।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে। দুঃখপ্রকাশ করছি কয়েকটি টিভি চ্যানেল দুষ্কৃতিকারী হামলা চালিয়েছে। আমরা মুক্ত, বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। প্রতিহিংসার কোনো স্থান নেই।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপ্রতির সঙ্গে বৈঠকের সময় শহীদদের জন্য দোয়া করা করেছে। শহীদের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাই একমত হয়েছেন, রাষ্ট্রপ্রতি ও সকল বাহিনী একমত বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে, সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে।

ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের প্রস্তাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কারো নাম যখন প্রস্তাব দেবেন, রাষ্ট্রপতি যখনই ডাকবেন তখন আমরা যাবো। ছাত্রদের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্তা আছে।

দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছিলেন, অর্জিত বিজয় যাতে ছিনিয়ে না নিতে পারে।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান কবে নাগাত দেশে ফিরবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা উনাকে (তারেক রহমান) অনুরোধ জানিয়েছি, যাতে তিনি দ্রুত চলে আসেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান প্রমুখ।