সরকারের পদত্যাগের বিকল্প নেই: বাংলাদেশ কংগ্রেস
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ১:৪২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৪, ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে স্মরণকালের ভয়াবহতম হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলন নিয়ন্ত্রনে সরকার সব ধরণের বাহিনীকে মাঠে নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। এমন মহাসংকটে নিপতিত হয়েছে যার জন্য এই সরকার শতভাগ দায়ী। ফলে বিরাজমান পরিস্থিতিতে সরকারের পদত্যাগ ছাড়া সংকটের সমাধান হবে না বলে মনে করে বাংলাদেশ কংগ্রেস। আজ শনিবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে দলটির চেয়ারম্যান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থায় সব দলের সমন্বয়ে একটি সর্বদলীয় অস্থায়ী সরকার গঠনের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আহবান জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে কংগ্রেস চেয়ারম্যান বলেন, কোটা সংষ্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের শন্তিপুর্ণ কর্মসূচীর শুরুতেই সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও ছাত্রলীগের উস্কানীমূলক বক্তব্য ও কর্মকান্ডের কারণে আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে। তাদের নির্দেশে ছাত্রলীগ ও আইন-শৃংখলা বাহিনী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এতে স্মরণকালের ভয়াবহতম হতাহতের ঘটনা ঘঠে। সরকারের নানামুখী ভুল পদক্ষেপের কারণে আজ ছাত্র-জনতা ফুঁসলে উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের অধীনে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নাশকতাকারীদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়। এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। তিনি গণগ্রেফতার ও মোবাইল চেকিংয়ের মাধ্যমে জনগণের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ বন্ধ করার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, সরকার মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোকে নিয়ন্ত্রন করার কারণে মানুষ আন্দোলনে ঘটে যাওয়া হতাহত ও নাশকতার প্রকৃত চিত্র একেবারেই আসেনি। ফলে মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভর করে। ফলে সরকার সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমগুলোকেও ভয় পেয়ে সেগুলোও বন্ধ করে দেয়। আন্দোলন দমানোর নতুন হাতিয়ার হিসেবে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার নতুন কৌশল অবাধ তথ্য প্রবাহের প্রতিবন্ধক হিসেবে সর্বমহলে নিন্দিত হয়েছে।
এসময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, এ্যাডঃ মোঃ আব্দুল আওয়াল, মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ মিজানুর রহমান, ন্যাশনাল সিনেট সদস্য এ্যাডঃ মোঃ জিয়াউর রশিদ, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পদক কামরুজ্জামান বাবলু, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুর রঊফ খানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।