রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় ছাত্র সমন্বয়কদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় থানা ফটকের বেশ বেশ কয়েকটি গ্লাস থানার সাইনবোর্ড ও সকল সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয় । খবর পেয়ে রাত দশটা নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের তথ্য মতে, চাঁদাবাজির অভিযোগে তিন ছাত্র সমন্বয়ককে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ, মামলাটি পূর্ব থানার হওয়ায় সেই থানাকে আসামি বুঝিয়ে দেন থানা থেকে। সমন্বয়কদের ছাড়িয়ে নিতে তদবির করেন আরো বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক, তাতে কাজ না হওয়ায় দলবেঁধে প্রথমে উত্তরা পূর্ব থানায় হামলা চালায়, সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ উত্তরা পশ্চিম থানায় এসে আবারো হামলা চালায় ছাত্র সমন্বয় পরিচয়ে কিছু শিক্ষার্থী ও আওয়ামী ছাত্রলীগের কিছু লোকজন। এ ঘটনা পরিস্থিতি বেসামাল হলে থানা থেকে সেই তিন সমন্বয়কে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান উত্তরা পশ্চিম থানা পরিদর্শনে এসে ওসি হাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলেন। ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্র সমন্বয় পরিচয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি হচ্ছে, তমা নামে এক ছাত্রী সমন্বয়কের বাবার নামে ছয়টি হত্যা মামলা রয়েছে, সেই মেয়ে দিনরাত ঘুরেফিরে চাঁদাবাজি করছে। ঘটনা বিষয় শুনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান, থানা পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় মোস্তফা জামান বলেন, ‘আমাদের থেকে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আপনি আমাদেরকে বলবেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা যেকোনো ধরনের সহযোগিতা আপনাদের করতে প্রস্তুত আছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে ছাত্র সমন্বয় পরিচয়ে বেশ কিছু মানুষজন থানায় হামলা চালায়, পরে খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ছুটে আসেন, এই হামলার ঘটনায় কোন পুলিশ সদস্য হতাহত হয়নি, তবে থানার বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কি করা হয়েছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে ওসি কথা না বলে ডিসির সাথে কথা বলতে বলেন।
কেকে/ এমএস