কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ১১৫টি পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো জেলা।
এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি ও পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে রোববার (২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দুর্নীতিবিরোধী ছাত্র জনতা।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় কুষ্টিয়ার প্রশাসনিক কাঠামোতে গভীর দুর্নীতির সংস্কৃতি প্রকাশ পেয়েছে। তারা বলেন, “প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়েই যখন দুর্নীতি আশ্রয় পায় তখন সাধারণ মানুষের ভরসা কোথায় থাকবে?” তারা দুর্নীতিবাজদের কোনো ছাড় না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
তদন্তে কুষ্টিয়ার এডিসি জেনারেল (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শাহাদত হোসেন কবির, পিইসি খুলনার উপপরিচালক নাসরিন সুলতানা, কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. হোসেন ইমাম ও তার ভাই স্বাস্থ্য সহকারী হাসান ইমাম নান্নুসহ কয়েকজন কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
বক্তারা প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, আপনাদের বেতন আমাদের কষ্টের টাকায় অতএব চোখে ধুলো দেওয়া বন্ধ করুন, সরল পথে চলুন।
তারা বলেন, ২৪-এ আমরা রক্ত দিয়েছি, প্রয়োজনে আবারও দেবো কিন্তু দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতি করতে হলে অন্য জেলা বেছে নেন, কুষ্টিয়াতে বসে কোন দুর্নীতি চলবে না।
তারা অবিলম্বে ফাঁস হওয়া নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ও ১৫ দিনের মধ্যে স্বচ্ছ ও ন্যায্য পুনঃপরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি পূর্বের নিয়োগ কমিটি বাতিল করে নতুন সচ্ছ কমিটি করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও দুর্নীতিবিরোধী ছাত্র-জনতার নেতারা—মোস্তাফিজুর রহমান, সুলতান মারুফ তালহা, আলী মুজাহিদ, মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ, হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ইমরান বক্তব্য দেন।
এর আগে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
কেকে/ আরআই