চট্টগ্রামের রাউজান এলাকায় মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল নেতা আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মুহাম্মদ রাজু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমত পাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে এবং নিহত আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে আলমগীর আলমকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। নিহত আলমগীর আলম মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন, আর রাজু ছিলেন তার পেছনে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটর সাইকেলে পালিয়ে যান। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তার বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কেকে/ আরআই