গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গরু চুরি করতে এসে স্থানীয় গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে তিন চোরের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলায় নাসিরাবাদ হিলালী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নাসিরাবাদ হিলালী পাড়ার মৃত জামাত আলীর ছেলে আ. ছালামের গোয়াল ঘরের দেয়াল কেটে তিনটি গরু চুরি করে সঙ্ঘবদ্ধ চোর চক্র। পরে আ. ছালাম ঘুমথেকে জেগে ঘোয়াল ঘরে গরু না দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয় এলাকাবাসী বের হলে চোর চক্র গরু রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নাসিরাবাদ গ্রামের একটি পুকুরে ভয়ে নেমে পড়ে চোর চক্রের তিন সদস্য। উৎসুক জনতা গণপিটুনিতে চোর চক্রের তিন সদস্য নিহত হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলেই এবং আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় এক চোরকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ৮-১০ জনের সংঘবদ্ধ এই চক্রটি পিকাপ ভ্যান নিয়ে গরু চুরি করতে এসেছিল। ধাওয়া খেয়ে বাকি সদস্যরা পিকাপসহ পালিয়ে যায়।
নিহতদের সবাই পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার একটি সক্রিয় গরুচোর চক্রের সদস্য বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতদের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। তবে, এখনো নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। পরিচয় নিশ্চিতের পর আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’
কেকে/এমএ