চট্টগ্রামে হাটহাজারী উপজেলার পরিষদের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক ও পারাপার হচ্ছে। রাউজান-হাটহাজারী আঞ্চলিক সড়কে নাম সর্বস্ব স্পিড ব্রেকার থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত এক বছর চার লাইনের সড়ক পারাপারের সময় ২০টি অধিক মারাত্মক দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা।
চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে খুকি রানী নামে এক নারী সড়ক পারাপারে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে পা হারিয়েছে। এছাড়াও সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশায় প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনায় ঘটছে। সড়কে কোলঘেঁষে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রতিনিয়ত অভিভাবকরা সর্বদা আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় থাকে।
বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালের ১৫০০ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বেশি আতঙ্ক থাকে। কখন যে তার প্রিয় ছোট সন্তানটি এত বড় সড়ক পার হয়ে তাদের বুকে ফিরে আসবে। এছাড়াও বিদ্যালয় ও কলেজ আসা শতাধিক শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ততম এই মহাসড়কটি পাড়ি দিতে হয়। এদিকে এই সড়ক পারপার হয়ে মসজিদে ও উপজেলায় আগত সেবাপ্রার্থীও পরিষদের কমকর্তা কর্মচারীরা নামাজ ও বিভিন্ন কার্য সম্মদান করতে গেলে আতঙ্কে সড়ক পারাপার হয়। এছাড়াও উল্টো পথে সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করার কারণে আরো আতঙ্কে থাকতে হয়।
হাটহাজারী সরকারি কলেজের আদিল নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, তারা ব্যস্ত মহাসড়কটি পাড়ি দিয়ে কলেজে যেতে সড়ক পারাপার সময় সব সময় আতঙ্কগ্রস্ত থাকে। এছাড়াও আমাদের ছোট ভাই বোনদের বিদ্যালয়ে রয়েছে। চোখের সামনে প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনায় হতাহত হতে দেখা যায়। এখানে যে স্পিড ব্রেকারগুলো দিয়েছে তা সড়কের সঙ্গে মিলে গেছে। বিভিন্ন যানবাহন দ্রুত গতিতে চলাচল করে। তাই দ্রুত এ এলাকায় স্পিড ব্রেকারগুলো দ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হাটহাজারী পার্বতী সরকারি মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দীন জানান, মহাসড়কের বিদ্যালয়ের সামনের এ অংশটুকু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় বিশাল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে তারা সর্বদা উদ্বিগ্ন থাকেন। তাই এই বিষয়ে সাবেক ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করেছি। কারণ তিনি এই বিদ্যালয়ের সভাপতি।
এদিকে হাটহাজারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বিগত কিছুদিন আগে একটা আবেদন দিয়েছিলাম ফ্লাইওভার করার জন্য সাবেক ইউএনও মহোদয় বরাবরে।
ফ্লাইওভার দিলে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী পারাপার হতে পারবে। কিন্তু জায়গা সল্পতা কারণে সম্ভবতা নাও হতে পারে। বর্তমানে গতিরোধক যেটা আছে সেটা বিলিন হয়ে গেছে। এটা আবার পুনরায় সংস্কার করা প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহর আল মুমিন জানান, এই বিষয়ে আপনার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। শিগগিরই যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।
কেকে/এআর