সিলেটে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৯ জন।
শনিবার (১ নভেম্বর) জেলার ওসমানীনগর ও কোম্পানীগঞ্জে পৃথক দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওসমানীনগরের দয়ামীর এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন ওসমানীনগর থানার খাদিমপুর গ্রামের প্রাইভেটকার চালক হারুন মিয় ও তাঁর মেয়ে আনিছা বেগম। আহত হয়েছেন আরও ৪ জন, যারা একই পরিবারের সদস্য।
পুলিশ জানায়, দয়ামীর এলাকায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে গাড়িচালক হারুন মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় তাঁর মেয়ে আনিছা।
শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ সরকার বলেন, ‘দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পাথরবাহী ট্রাক্টরের চাপায় এক পর্যটক নিহত হয়েছেন। বেলা ১২টার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পর্যটকের নাম মো. জিয়াউল হক, তিনি জামালপুরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট থেকে পর্যটকবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সাদাপাথরের দিকে যাচ্ছিল। পথে ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে দ্রুতগামী একটি পাথরবাহী ট্রাক্টর অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে জিয়াউল হক ঘটনাস্থলেই মারা যান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনাকবলিত দুটি যান জব্দ করেছে।’
কেকে/ আরআই