নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় ধান ঘরে তোলার শেষ মুহূর্তে বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এতে করে কৃষকের স্বপ্ন পানিতে ভাসছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ গেল রাতের ভারি বৃষ্টিতে মাঠের প্রায় ২৫ শতাংশ ধান জমিতে পড়ে যায় এবং প্রায় ১৫ শতাংশ জমি ধান ডুবে গেছে।
উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ জমির ধান পানিতে ভাসছে। টানা বৃষ্টিতে নিয়ামতপুরের পুকুর খাল-বিলের পানি বের হয়ে ৮০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে টানা ৩-৪ ঘণ্টা ভারি বৃষ্টিপাত হয়।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ধান কাটা শুরু হলেও আগামী সপ্তাহ থেকে পুরো দমে কৃষক ধান কাটা শুরু করার কথা থাকলেও হঠাৎ বৃষ্টির কারণ কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার ভাবিচা গ্রামের ধনঞ্জয় মহন্ত বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১২ বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে কিভাবে চলবো দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তাছাড়া এমন দুঃসময়ে কৃষি অফিস থেকেও কেউ খোঁজখবর নিতে আসেনি।’
এছাড়াও এলাকার আপেল, সবুজ, মামুনসহ সবাই একই কথা বলেন।
‘টাকা-পয়সা খরচ করে আমার এখন প্রায় নিঃস্ব। সরকারি সহযোগিতা না পেলে পথে বসতে হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে মুঠোফোন কল করে তার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শফিউল আলম মুঠোফোনে বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমে নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা রয়েছে। গেল রাতের ভারি বৃষ্টিপাতে উপজেলা বিভিন্ন মাঠের ধান পড়ে গেছে এবং নিচু এলাকার ধান ডুবে গেছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ জরিপ করছে- কেমন ক্ষতি সাধন হয়েছে এবং জমির পানি কেটে দিয়ে পানি দ্রুত বের করে দেওয়ার দিচ্ছে।’
কেকে/এমএ