ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪ | ২২ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিষ প্রয়োগে ২০০ শতাংশ জমির আমন ধান নষ্টের অভিযোগ

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪

বিষ প্রয়োগে ২০০ শতাংশ জমির আমন ধান নষ্টের অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিষ প্রয়োগে চারজন কৃষকের ২০০ শতাংশ জমির আমন আবাদ নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ গত ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বাগিচাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে এঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বাগিচাপুর গ্রামের মৃত হাকু মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক (৬০), আ. ছাত্তারের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৩০), ছাত্তারের ছেলে উজ্জল মিয়া (৩৫), আব্দুল হামিদের ছেলে সামাদ (৩০) ও গিয়াস উদ্দীনের ছেলে সুমন মিয়া (২৬)।

ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাগিচাপুর গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক সিরাজুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন ও শফিকুল ইসলামের সাথে অভিযুক্তদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিলো। পরে গত ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চারজন কৃষকের ২০০ শতাংশ আমন আবাদে বিষ দেয় দুর্বৃত্তরা৷ এসময় বিষের ট্যাঙ্কিসহ সামাদ ও সুমন নামের দুই ব্যক্তিকে ধরেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এতে বিষ প্রয়োগে নূর ইসলাম নামে এক কৃষকের বন্ধকি রাখা ২৫ শতাংশ আবাদি জমি, শফিকুল ইসলামের ৮৫ শতাংশ, সিরাজুল ইসলামের ৬০ শতাংশ ও তোফাজ্জল হোসেনের ৩০ শতাংশসহ প্রায় ২০০ শতাংশ আমন আবাদ নষ্ট হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ৮৫ শতাংশ জমির ধানসহ মোট ২০০ শতাংশ জমির ধান বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি চাই দোষীদের যেনো বিচার হয়। আমরা যেনো ক্ষতিপূরণ পাই।

ভূক্তভোগী কৃষক নূর ইসলাম বলেন, আমি ২৫ শতাংশ জমি বন্ধকি রাখছি। আর এই জমির ফসল দিয়াই আমার সংসার চলতো। আমার সাথে তো কারো শত্রুতা নাই। বিনা কারণে বিষ দিয়া আমার জমির আবাদ নষ্ট করলো। রাতেই বিষের ট্যাঙ্কিসহ দুইজনরে আটকাইছিলাম। কিন্তু ছাইড়া দেওয়া লাগছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিক অভিযুক্তের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়৷

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দেখে মনে হয়েছে বিষ প্রয়োগেই ধান খেত নষ্ট করা হয়েছে। ল্যাব টেস্ট করা হলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

জানতে চাইলে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি৷ তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 
Electronic Paper