সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৪:২৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪
মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দী ইউনিয়নের বিন্নিবাড়ী গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি তিন কিলোমিটার পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা থেকে কাকরকান্দী যাওয়ার সড়ক থেকে বিন্নিবাড়ী গ্রামের ভিতরের দিকে দুটি ঢাল নেমে গেছে।
ওই এলাকার মানুষের বাজারে চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। শুকনো মৌসুমে এসব গর্ত পেড়িয়ে গাড়ি চলাচল করলেও একটু বৃষ্টি হলেই সড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়। বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়ার জন্য এই সড়কে যানবাহন চলাচল করে। এছাড়াও এই সড়ক সংলগ্ন মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়া মুসল্লি ও মাদরাসায় শিক্ষার্থী কমে যায় বলে জানান এলাকাবাসী। বৃষ্টির পানি জমে বিভিন্ন যায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদা সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় শিক্ষার্থী আবু হাসান সুমন বলেন, একটু বৃষ্টি হইলেই আমরা এই রাস্তা দিয়া মাদরাসায় যাইতে পারি না। রাস্তাটি পাকা কইরা দিলে সবসময় মাদরাসায় যাইতাম।
অটোরিকশাচালক জাকির হোসেন বলেন, প্রতিদিন যাত্রী ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়া এই সড়কে যাতায়াত করি। এই এলাকার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম একটি সড়ক। কিন্তু একটু বৃষ্টি অইলেই আর চলাচল করুন যায় না। তাই রাস্তাটি পাকা কইরা দিলে আমগর বিরাট উপকার অইতো।
বিন্নিবাড়ী জামে মসজিদের ঈমাম মো. মুনছুর আলী বলেন, বর্ষাকাল এলেই এই এলাকার মানুষের দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়ায় এই সড়কটি। রাস্তা এতোই খারাপ হয় যে মসজিদের নিয়মিত মুসল্লিরাও ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে আসতে পারেন না।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ওই সড়কটি আইডিতে পড়ছে কি-না দেখতে হবে। আইডিতে পড়লে যেকোনো প্রকল্পের মাধ্যমে পাকা করা হবে। এরপরেও আমি লোক পাঠিয়ে ওই রাস্তাটি দেখার ব্যবস্থা করবো।