সাফল্যের গল্প
কঠিনের সহজ কারিগর
রুমান হাফিজ
🕐 ২:৩৬ অপরাহ্ণ, মে ০৫, ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তারের ভাষায়, ‘তাহমিদ স্যারের ক্লাসের সহজ উপস্থাপনা আর নিজস্ব শর্ট টেকনিকগুলো অনেক কার্যকর। গ্রামারের জটিল নিয়মগুলো যে কত সহজে উপস্থাপন করা যায় তা স্যারের ক্লাস না করলে বুঝতামই না।’ দেশের খুব কম বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে তার কাছে পড়ুয়া শিক্ষার্থী নেই। সিলেট শহরের জনপ্রিয় ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেইনার হিসেবে পরিচিত তাহমিদ হাসানের কথাই বলছিলাম।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদের ইংরেজি পড়ানোই একধরণের নেশা। ছোটবেলা থেকেই সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পছন্দ করতেন। বিতর্ক, বক্তৃতা আর আবৃত্তিতে তার সুনাম ছড়ায় স্কুলের গণ্ডি পেরুনোর আগেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই পূর্ণ উদ্যমে ইংরেজি পড়াচ্ছেন তিনি। সহজ পদ্ধতি আর সাবলীল উপস্থাপনার কারণেই এক ধরনের কাড়াকাড়ি পড়ে যায় প্রতিযোগিতামূলক নানা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের কাছে তাহমিদ হাসান এক ভরসার নাম। তিনি বলছিলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি অনেক জায়গায় ক্লাস নিচ্ছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সময় একটু বেশি খাটতে হয় আমাকে। শুধু রাতে ঘুমাতে আসা ছাড়া বাসার বাইরেই কাটে। কষ্ট হলেও ভালো লাগা কাজ করে। নিজের থেকে সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা সবসময় করি।
নিজের ক্লাস, অন্যদের পড়ানোর এতসব ব্যস্ততার মাঝেও তিনি সিলেট বিভাগ থেকে প্রকাশিত একমাত্র ইংরেজি ম্যাগাজিন ‘The Earth of Autograph’ এর প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। গ্রামারের শত শত রুল, স্ট্রাকচার মুখস্থ না করেও মাত্র কয়েকটি সহজ এবং ছোট্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে কঠিন সব বিষয়ের সমাধানে তার লেখা ‘Practical English Grammar’ পাঠক মহলে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। সহজ আর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় ইংরেজি শিক্ষাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে তিনি ‘Grammar World’ নামক ouTube Channel এ তার ক্লাসের ভিডিওগুলো নিয়মিত আপলোড দিয়ে থাকেন।
ইংরেজিতে এত ভালোর পেছনের মূলমন্ত্র কী? হেসে জানালেন, ইংরেজি গ্রামারের দেশি-বিদেশি প্রায় সবগুলো বই আমি সংগ্রহ করেছি। যেভাবেই হোক যেটুকু পারি প্রতিদিন পড়ার চেষ্টা করতাম। এখনো তাই করি।
নিজের সম্পর্কে যেমনটা বলছিলেন তাহমিদ, সহজ নিয়মে সরল উপস্থাপনায় ইংরেজি শিক্ষাকে দেশব্যাপী সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াই আমার স্বপ্ন। যেন শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভীতি থেকে মুক্তি পেয়ে তাদের স্বপ্ন পূরনে এগিয়ে যায়। সবার স্বপ্নপূরণের যাত্রায় একজন ফেরিওয়ালা হিসেবে পাশে থাকতে চান এই স্বাপ্নিক তরুণ।