রেজিস্ট্রারের বিতর্কিত মন্তব্য, পদত্যাগ চায় পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি
জান্নাতীন নাঈম জীবন, পবিপ্রবি
🕐 ৬:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৩, ২০২৪
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুর সাম্প্রতিক বিতর্কিত মন্তব্য, শিক্ষার্থীদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাবে সম্বোধন, অসদাচরণ ও তাদের দিকে তেড়ে যাওয়ার বিষয়কে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অমানবিক আচরণ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘গত ২ আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর প্রায় সকল জাতিয় দৈনিক পত্রিকায় পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসুর বক্তব্য ‘আরো ৫ হাজার মানুষ যদি মারা লাগে সরকার চিন্তা করবে না ও শিক্ষার্থীদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাবে সম্বোধন, অসদাচরণ ও তাদের দিকে তেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এই বক্তব্যের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া এবং শিক্ষকদেরকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক মন্তব্যসহ সকল বিষয় পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নজরে এসেছে এবং তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আবাসিক হল থেকে কয়েকজন অসহায় শিক্ষার্থীকে (যারা টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ চালায়) জোরপূর্বক বের করে দেয়ার প্রাক্কালে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রফেসর সন্তোষ বসুর এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অমানবিক আচরণ পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি কোনভাবেই সমর্থন করে না, বরং তা প্রত্যাখান করছে’। সেইসাথে বিজ্ঞপ্তিতে ‘আরো ৫ হাজার মানুষ যদি মারা লাগে সরকার চিন্তা করবে না’ এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য কেন রেজিস্ট্রার দিলেন এবং এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর স্বার্থে অনতিবিলম্বে প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসুকে সকল অতিরিক্ত দায়িত্ব (রিজেন্ট বোর্ড মেম্বার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর) থেকে পদত্যাগের দাবিও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্যে তোপের মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু। এ সংক্রান্ত কয়েকটি অডিও ক্লিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পেজে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।