ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাজারে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

ঢাবি প্রতিনিধি
🕐 ৭:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪

মাজারে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

দেশব্যাপী মাজার এবং ধর্মীয় স্থাপনায় হামলার প্রতিবাদে ও বাংলাদেশে বিদ্যমান ধর্মীয় বহুত্ববাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধন করেছে একতার বাংলাদেশ।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন -ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে মাজার ভাঙ্গচুরের তীব্র নিন্দা এবং ভাঙ্গচুরের বিপক্ষে প্রদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠে আসে।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাফি মোহাম্মদ মুস্তফা বলেন, বাংলাদেশের ইসলামের সাথে সুফিবাদের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৮৭২ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলা ভূখণ্ডে মুসলমানদের সংখ্যা ৪৮% ছিল। একই সময়ে মুসলিম শাসনাধীন দিল্লিতে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ১১ শতাংশ। এর দ্বারা ক্ষমতা কিংবা তরবারির জোরে যে ইসলাম প্রসার লাভ করে না তা স্পষ্ট হয়ে যায়। নিপীড়ন কোনো বিষয়ে সমাধান দিতে পারে না। কারো ভুল থাকলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করার আহবান করেন ড. শাফি মোহাম্মদ মুস্তফা।

বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের আরেক সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, স্রষ্টা নিজেই বহুত্ববাদ সৃষ্টি করেছেন। সুফিদের উদারতা, সবার প্রতি সহনশীলতা মানুষকে মুগ্ধ করেছে। তাই মানুষ দলে দলে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। এসময় শত বছরের পুরনো মাজারের প্রতি আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানায় ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লুৎফুন নাহার বলেন, আমার চিন্তার সাথে অন্য কারো চিন্তার অমিল থাকতে পারে। এরজন্য কারো ওপর হামলা করার অধিকার আমার নাই।

একতার বাংলাদেশের মুখপাত্র তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, স্বৈরাচার সরকারের সময়ে ধর্মীয় সংস্কৃতিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। এর মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় কার্যক্রম বন্ধের পায়তারা চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ভিন্নমত প্রতিরোধের প্রভাব সবার উপর আসবে। আজ আপনি অন্যকে প্রতিরোধ করলে কাল আপনি মত প্রকাশের সুযোগ পাবেন না। তাহমিদ এসব সহিংসতার দায় সেকুলারদের উপর দিয়ে বলেন সেকুলাররা এসবের দায় এড়াতে পারবে না। পাঠ্যবইয়ে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর লালসালু উপন্যাস পড়িয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জনমত মাজারের বিপক্ষে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে ভাঙ্গচুরের বিপক্ষে কোনো আওয়াজ আসছে না।প্রত্যেকটা মতাদর্শসহ বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার আহবান করেন তাহমিদ আল মুদাসসির আল চৌধুরী।

 
Electronic Paper