ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী আলিফ

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৭:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী আলিফ

অকালেই মৃত্যুবরণ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আলিফ আহমেদ।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক দুপুর আড়াইটার দিকে হাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু হলে শুয়ে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি। বেশকিছুদিন যাবৎ তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে ফেসবুকে একটা স্টোরিও দেন তিনি।সেখানে বলেন,আমি হঠাৎ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ছি, গতরাতে সারারাত ঘুম হয় নি, সকাল পর্যন্ত, সকালে জ্বর ভাব ছিলো, দুপুরে একটু ঘুম হলো, এখন আবার শরীর দুর্বল সবাই দু’আ করবেন, কথা বলতে ক্লান্ত লাগে, তাই কারো ফোন ধড়তে পারতেছি না।

আলিফ দীর্ঘদিন যাবৎ থ্যালাসেমিয়ার রোগে ভুগছিলেন। প্রতি মাসে একবার তার রক্ত পরিবর্তন করতে হতো।তার বাবা বলেন, একমাত্র সন্তান চলে গেল।ওর মাকে এখনও জানায়নি।জানিনা এখন জানালে কি হবে।অসুস্থতার কথা শুনে আজকেই সকাল সাড়ে নয়টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি।তাকে গোসল করিয়ে দিয়ে খাইয়ে দেয়।এবং নামাজ শেষে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নামাজে যায়। সেখানে তার বন্ধুকে রেখে যায় তার বন্ধুকে সে ফ্যানের পাওয়ার কমাতে বলে এবং জিকির করতে করতে মারা যায়। নামাজ শেষে এসে দেখি আমার একমাত্র ছেলে নেই।তবুও তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাম্বুলেন্সে করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

আলিফের বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিনি অত্যান্ত পরহেজগার ছিলেন। নিয়মিত নামাজ পড়তেন, হাসিখুশি ছিলেন। এভাবে অকালে মারা যাবেন ভাবতেই পারছিনা।কিন্তু আল্লাহর রায় মেনে নিতেই হবে।

শিক্ষকেরা বলছেন, যথেষ্ট নরম স্বভাবের ছেলে ছিল। ক্লাসে দায়িত্বশীল আচরণ করতো।মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন।

বাদ আছর হাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুম আলিফের প্রথম জানাজ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল সকাল ১০ টায় তার নিজ বাস ভবনে জানাজা নামাজ শেষে গাইবান্ধা সদর কবরস্থানে দাফন করা হবে। আলিফের বাসা গাইবান্ধা সদরে। তিনি মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন।

 
Electronic Paper