ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

বাংলা

ফাতেমা বেগম তমা
🕐 ১:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০

স্মরণীয় যারা চিরদিন
মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষের দিকে তারা বুঝতে পারে যে, তাদের পরাজয় অবধারিত। তখন তারা এদেশকে আরও গভীরভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়। তারা জানে এদেশের মনস্বী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও সৃষ্টিশীল মানুষদের হত্যা করলে এদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। পাকিস্তানিরা আমাদের সেই অপূরণীয় ক্ষতি করার কাজ শুরু করে। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সহায়তায় নতুন করে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর।

বিভিন্ন আবাসস্থল থেকে তারা ধরে নিয়ে যায় দেশের শক্তিমান, যশস্বী ও প্রতিভাবানদের। তারা ধরে নিয়ে যায় অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ও অধ্যাপক আনোয়ার পাশাকে। তারা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তুলে নিয়ে যায় ইতিহাসের অধ্যাপক সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ও অধ্যাপক গিয়াসউদ্দীন আহমদকে। ইংরেজির অধ্যাপক রাশীদুল হাসানও বাদ পড়েন না।

ক) তাদের পরাজয় অবধারিত- এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? কেন?
খ) পাকিস্তানিরা এদেশকে গভীরভাবে ধ্বংস করার জন্য কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল?
গ) পাকিস্তানিরা কীভাবে এদেশের অপূরণীয় ক্ষতি করে?
উত্তর : ক) তাদের পরাজয় অবধারিত- লাইনটি দ্বারা পাকিস্তানিদের কথা বোঝানো হয়েছে।

সুদীর্ঘ নয় মাস এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষের দিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুঝতে পেরেছিল দেশপ্রেমী বাঙালি জাতিকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের একাগ্র মনোবলের কাছে নতি স্বীকার করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। তখন তারা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে নীলনকশা অনুযায়ী এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে শুরু করে। উল্লিখিত লাইনটি পাক-হানাদারদের নিশ্চিত পরাজয়ের অগ্রীম ভাবনাকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে।
খ) পাকিস্তানিরা এদেশকে গভীরভাবে ধ্বংস করার জন্য এদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষের দিকে পাকিস্তানিরা বুঝতে পারে যে, তাদের পরাজয় অবধারিত। তখন তারা এদেশকে আরও গভীরভাবে ধ্বংস করার জন্য জ্ঞানী-গুণী মানুষদের তালিকা করে তাদের হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারা জানত এদেশের মনস্বী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও সৃষ্টিশীল মানুষদের হত্যা করলে এদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। পাকিস্তানিরা আমাদের সেই অপূরণীয় ক্ষতি করার কাজ শুরু করে। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সহায়তায় নতুন করে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর। বিভিন্ন আবাসস্থল থেকে তারা ধরে নিয়ে যায় দেশের শক্তিমান, যশস্বী ও প্রতিভাবানদের। এই নীলনকশা এদেশকে পঙ্গু করে দিয়েছিল।

গ) এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানিরা এদেশের অপূরণীয় ক্ষতি করে।
পাক-হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হবে তা সুনিশ্চিত জেনে এদেশকে চিরতরে পঙ্গু করে দিতে চেয়েছিল। তারা বুঝেছিল এদেশের মনস্বী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও সৃষ্টিশীল মানুষদের হত্যা করলে এদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, শিল্পি, সাহিত্যিকসহ নানা গুণী মানুষকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। এদেশের মননশীল মানুষদের হত্যা করে যে ক্ষতি পাকবাহিনী করেছিল তা কখনোই পূরণ করার নয়।

ফাতেমা বেগম তমা, সিনিয়র শিক্ষক
বর্ণমালা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper