ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৬ ভাদ্র ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

লামায় খুনের দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিক আটক

বেলাল আহমদ, লামা (বান্দরবান)
🕐 ৫:১৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০২, ২০২৪

লামায় খুনের দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিক আটক

বান্দরবানের লামায় মো. সুজন নামের এক ব্যাক্তির খুনের দায়ে তার স্ত্রী ও স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, পরকিয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামী মো. সুজন হোসেনকে (২৮) শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

এর আগে নিখোঁজের দুই দিন পর গত ২৩ জুলাই সকাল ১১টার দিকে লামা সদর ইউপির মেরাখোলা মাতামুহুরি নদী থেকে নিহত সুজনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে লামা থানা পুলিশ। সুজন লামা পৌরসভার নয়াপাড়া ২নং ওয়ার্ডের মৃত চুকু মিয়া ও পারুল বেগমের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে সুজনের সঙ্গে সাবেক বিলছড়ি এলাকার নূর বানুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন সুজন। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন যাবৎ চকরিয়ার আবু হানিফ নামে এক ছেলের সঙ্গে গোপনে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে স্ত্রী নূর বানু। তারই জেরে গত ২১ জুলাই রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সুজনকে অচেতন করেন তার স্ত্রী। পরে রাতের আঁধারে প্রেমিক হানিফের সহযোগিতায় গামছা দিয়ে পা বেঁধে মুখে কম্বল ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সুজনকে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে লামা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন জানান, গত ২৩ জুলাই সকাল আনুমানিক ১১টায় লামা থানাধীন ২নং লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ পাওয়া যায়। লামা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশের শরীরে পচন ধরায় এবং ফুলে যাওয়ায় এটি বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। লাশের পরিহিত কাপড়-চোপড় দেখে বর্ণিত ভিকটিমের মরদেহ মর্মে সনাক্ত হয়। এরপর পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট এবং পোস্টমর্টেম সম্পন্ন করে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করে।

ভিকটিমের ভাই মো. শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে লামা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজু হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং গোপন সোর্স নিয়োগ করে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং আসামিদের সনাক্তের জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ২ জন আসামি গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিম শেখ বলেন, মামলার পর পুলিশ ঘাতক স্ত্রী ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উভয়ে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

 
Electronic Paper